মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী হতে রিয়াম (১৭) ও আলমগীর হোসেন (১৮) নামের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ। আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠপট্টি লঞ্চঘাট ও নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে দুই তরুণের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য সুত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সদর উপজেলার কাঠপট্টি ঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রিয়ামের লাশ উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নয়াগাঁও এলাকা থেকে আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিয়ামের ভাই মো. হাসান করে জানান, গত সোমবার দুপুর ২টায় রুবেল (২৪), রনি (২৩), পারভেজ (২২), রিয়াম (১৭) আলমগীরকে (১৮) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আজকে সকালে ভাইয়ের লাশ পেয়েছি। গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্বের কারনে এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে তার দাবি। নিহত আলমগীরের মামা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোমবার ভাগিনাকে ওর বন্ধুরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কমলাঘাট এলাকায় নেশা-পানি করেছে। এরপর আমার ভাগিনাকে পানিতে ফেলে মেরে ফেলেছে। অপুর্বর সাথে আলমগীরের এর আগে ঝগড়া হয়েছিল। তখন ভাগিনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। রনি ও রুবেলকে ধরে পুলিশে দিয়েছি। আমরা আমার ভাগিনা হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করি। লাশের গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ দুথজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, কাঠপট্টি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রিয়াম হোসেন ভোলার চরটিটিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। রিয়াম পরিবারের সাথে মিরকাদিম পৌরসভার মাস্তান বাজার এলাকায় ভাড়া থাকত। নয়াগাঁও থেকে উদ্ধার নিহত আলমগীর হোসেন মুন্সীগঞ্জ সদরের গোসাইবাগ এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।