মুন্সীগঞ্জ মুজিব শত বর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ ও স্থান নির্বাচনে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি টিম। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর পরিচালক মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে একটি টিম।
পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর নির্মাণ কাজে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স রয়েছে। সকল জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে- আমরা মাঠে আছি তোমরাও মাঠে থাকো। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পের কাজে কোনো অবহেলা করা হবে না, অবহেলা সহ্যও করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে ঘর নির্মাণ করা যাবে এমন খাস জমি পেলে ঘর নির্মাণ করতে হবে বলে প্রকল্প অফিসের ‘সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া ছিলো। “আমরা কাউকে বলিনি তোমরা নদীর পাড়ে, খালের পাড়ে মাটি ভরাট করে এখনই করো। ত্রুটি বিচ্যুতি দু-একটি হয়ে থাকলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে ঘর নির্মাণে অনিয়মে জড়িতদের ব্যাপরে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই অনিয়মের তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকল্প পরিচালক সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান এবং সব সময় সঠিক তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান যাতে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ এর উপ-পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হামিদুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ভাসানচরে ২০০টি ঘরের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে এরই মধ্যে সাবেক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অ্যাসিল্যান্ডসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামেও প্রকল্পের কয়েকটি ঘর আংশিক ধসে পড়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি ঘর। সেখানে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে নদীর ধারে। ফলে যে কোনো সময় বন্যায় ভেসে যাওয়া কিংবা ভাঙনে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প তৈরি হয়েছে নদীর তীর ঘেঁষে, যার ফলে বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতির আশঙ্কা রয়ে গেছে। বড় বায়পাড়ায় ২৮টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে তার মধ্যে পাঁচটি পরিবারকে সেখানে থাকতে দেখা গেছে। পানি ও রান্নার ব্যবস্থা না থাকায় অন্যরা রাতে ঘরে থাকেন না। তবে বরাদ্দ টিকিয়ে রাখতে দিনে এসে থাকে।