মুন্সীগঞ্জে সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্র ও স্বর্ণালংকারসহ ৭ জন ডাকাত ও চোরা স্বর্ণ ক্রয়কারী দোকানদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এছাড়াও এ ঘটনায় জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট।সোমবার (২০শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম।
সংবাদ সম্মেলনের তথ্য সুত্রে জানা যায়,ডাকাতির ঘটনার পরই অভিযানে নামে পুলিশ।গত ১৯ আগস্ট রবিবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায় জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ।এসময় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুন্সীগঞ্জ,মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।পরে তাদের কাছ থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণ,১৫ হাজার টাকা,একটি ম্যাগজিনসহ পিস্তলের গুলি,চার রাউন্ড শটগানের গুলি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট।ডাকাতির পরই এসব মালামাল এক দোকানদারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।পুলিশ সুপার আরও জানান,ডাকাত চক্রটি মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে ডাকাতি করে আসছিলো।চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এছাড়া লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য,গত ১৫ই সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের চিতলিয়া বাজারে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আনুমানিক ১০৭ ভরি স্বর্ণ ও ৪০ লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানান দোকান মালিকরা।পরে নিখিল বনিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক রিপন বনিক বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাত ১৮-২০জনের নামে ডাকাতির মামলা করেন।ঘটনার তিন দিনের মাথায় ডাকাতদের গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো,ডাকাতদলের দলনেতা সাব্বির ওরফে হাত কাটা স্বপন (৪৯),আরিফ হাওলাদার (২৫),মোহাম্মদ আলী (৪০),মোঃ বিল্লাল (৩০),মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২),ফারুক খা (২১),মোঃ আফজাল হোসেন (৪৭) ও স্বর্ণ ক্রয়কারী দোকানদার মোঃ আক্তার হোসেন (৩২)।গ্রেফতারদের বাড়ি শরীয়তপুর,চাঁদপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে।