মুন্সীগঞ্জে পদ্মার তীব্র স্রোতে ৮ টি ঘর নদীতে বিলীণ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩০শে জুলাই) সকাল ১১ টার সময় টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের পূর্ব হাসাইলে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও স্কুল, মসজিদসহ প্রায় ১০০ টি বাড়ি ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইলে সারাবছরই নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকে। শুক্রবার সকালে বানারী ইউনিয়নের পূর্ব হাসাইলে পদ্মার তীব্র স্রোতে ৮ টি ঘর নদীতে ডুবে যায়। এলাকাবাসীর সহায়তায় ৬ টি ঘর উদ্ধার হলেও ঘরে থাকা আসবাবপত্র কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগি পরিবারের দাবি অতি দ্রুত নদীর তীরে বাঁধ নিমার্ণসহ এবং তাদের দ্রুত সাহায্য সহযোগিতা করা হউক।
ভুক্তভোগী আলম শেখ বলেন, পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে নদীতে মুহূর্তেই আমার ৩ টি ঘর চলে গেছে। ঘর উদ্ধার করতে পারলেও ঘরের বাকি জিনিস কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।
পদ্মায় ঘর বিলীন হয়ে অন্য একজন ভুক্তভোগী জেসমিন জানান, কিছু বুঝার আগেই ঘর আমাদের ঘর নদীতে ভেসে যায়। লোকজনদের সহায়তায় দড়ি বেঁধে ঘরটি উদ্ধার করতে পারলেও ঘরের আসবাবপত্র কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারিনাই।
হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, সকাল ১১টার সময় খবর পাই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৬ টি উদ্ধার করতে পারলেও বাকি দুইটি ঘর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে আমি এমপি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ঝুকিতে থাকা এই এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ১ মাস পূর্বে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নদী রক্ষার বিষয়টি তুলে ধরলেও তিনি এগিয়ে আসেননি।