শীতে কাঁপছে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মানুষ। তিন দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল কিংবা রাত সবসময় ঘন কুয়াশা। এতে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি ও ভারি বৃষ্টি হয়েছে, বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা যায়নি। হালকা বাতাস আর থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শীতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
শীতল হাওয়ার সঙ্গে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে শীতের প্রকোপ আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। বিভিন্ন যানবাহনে বহন করা মাটি পিচ ও ইটের রাস্তায় পড়ে থাকায় এলাকার রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। এতে চলাচলের অসুবিধাসহ দূর্ঘটনা ঘটছে। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার পর শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতের মধ্যে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে পাইকগাছাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।নিন্ম আয়ের মানুষ,ভ্যান চালক ও শ্রমজীবী মানুষরা বলেছেন, রাতে আকাশ ভালো থাকলেও ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। হাড় কাঁপুনি শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে ঠান্ডার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শীতের মধ্যে অনেক দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজে যোগ দিতে পারেনি। এতে এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষগুলো কাজ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে। জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া কিছু সংখ্যক দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে।তবে গরম কাপড় না থাকায় অনেকেই হালকা কাপড়েই বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে। এদিকে গত তিনদিন কুয়াশায় ঢাকা থাকায় মানুষের চলাচলও কম ছিলো।গতকাল সোমবার এ ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের চা বিক্রেতারা বলেন, সকাল বেলা ঠান্ডার কারণে দোকানেই আসা যায় না। আবার আসলে দোকানে বসে থাকা যায় না। শীতের জন্য ক্রেতাশূন্য হয়ে থাকে।মেইন রাস্তার পাশে অনেকেই খড়কুটো, কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।তবে আজ সকালে কিছুটা সূর্যের দেখা মিললেও পরবর্তীতে কুয়াশার চাদরে তা ঢাকা পড়ে সমগ্র উপজেলা হয়ে পড়েছে মেঘাচ্ছন্ন।