ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন চর জহির উদ্দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দাদার সাথে মেঘনায় মাছ ধরতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া শিশু সামিয়ার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের মাষ্টার বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে জেলেরা লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে চেয়ারম্যান সামিয়ার পরিবারকে লাশ শনাক্তের জন্য খবর দেয়। পরে সামিয়ার বাবা আজগর ও দাদা ফারুক মাঝি বিকেল ৪টার দিকে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সোনাপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিশু, তজুমদ্দিন কোষ্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. আরিফ, চর জহির উদ্দিন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন। এসআই মো. মনির হোসেন জানান, দাদার সাথে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শিশু সামিয়া মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় জেলেরা তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে সামিয়ার লাশ শনাক্ত করে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। সন্ধ্যায় লাশ পরিবারের হেফাজতে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চর জহির উদ্দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় সামিয়া তাঁর দাদার সাথে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। এসময় নদীর তীর ভেঙে দাদার চোখের সামনে জোয়ারের টানে ভেসে যায় তাঁরা দুজন। এ ঘটনায় দাদা ফারুক মাঝি (৫৫) প্রাণে বাঁচলেও নাতনি সামিয়ার শেষ রক্ষা হয়নি। চোখের সামনে নাতনি মেঘনার তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়। এরপর গত মঙ্গলবার থেকে নদীতে ট্রলার নিয়ে খুঁজেও তাঁর সন্ধান পায়নি।