বরগুনায় এক সন্তানের জনক,একটি মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী ও জামে মসজিদের ইমামকে দিনে দুপুরে এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় বরগুনা পৌরসভার কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের বটতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ঐ মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী ও মসজিদের ইমামের নাম হাফেজ মোঃ শামীম হোসাইন।তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭নং সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের আবদুল মন্নানের ছেলে।অভিযুক্ত শামীম হোসাইন বাখেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নেওয়ামতি ইউনিয়নের দহরখোলা আলিয়া মাদ্রসায় নৈশ প্রহরীর চাকুরী করেন এবং দহর খোলা তালুকদার বাড়ী জামে মসজিদে ইমামতিও করেন।
ঘটনাস্থল ও থানা সূত্রে জানা গেছে,এক সন্তানের জনক হাফেজ শামীম হোসাইনের সাথে বরগুনা কলেজ রোডে বসবাসকারী এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল।অভিযুক্ত হাফেজ শামীম হোসাই প্রায়ই ঐ প্রবাসীর স্ত্রী ঘরে যাতায়াত ছিল।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় বরগুনা পৌরসভার কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের বটতলার জনৈক মোতালেব এর বাসায় অভিযুক্ত শামীম হোসাইন ও এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে নাতে স্থানীয় এলাকাবাসী আটক করে বরগুনা থানায় খবর দেয়।
পুলিশ এসে তাদের সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে,অভিযুক্ত শামীম হোসাইন প্রবাসীর স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিলেও কোন প্রমান দেখাতে না পারলে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।পরে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত শামীম হোসাইন ও ঐ প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে বৈধ কোন সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত,যৌতুকের দাবীতে নিজ স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে অভিযুক্ত হাফেজ শামীম হোসাইনের বিরুদ্ধে গত ২৪/০৯/২০২১তারিখ একটি মামলা করেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম।বর্তমানে মামলাটি তদন্তনাধিন আছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে. এম. তারিকুল ইসলাম বলেন,বরগুনা কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের বটতলায় মোতালেব এর বাসায় হাফেজ শামীম হোসাইন ও এক প্রবাসীর স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে থানায় খবর দিলে আমি সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে দেই।
পুলিশ তাদের দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি হাফেজ শামীম হোসাইন ও প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে কোন বৈধ সম্পর্ক নেই।তারা বিবাহবহির্ভূত ব্যবিচারে লিপ্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ২৯০ ধারায় একটি মামলা রজু করা হয়েছে।যথাসময়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।