1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
বন বিভাগের ১৪টি আকাশমনি গাছ চু*রি করে কেটে নিয়ে যাবারকালে জনতার হাতে আ*টক
বাংলাদেশ । রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বন বিভাগের ১৪টি আকাশমনি গাছ চু*রি করে কেটে নিয়ে যাবারকালে জনতার হাতে আ*টক

মোতাহার হোসেন :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৩০৪ বার পড়েছে

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের বাতাসনহাট এলাকায় চুরি করে কাটা মুল্যবান ১৪টি আকাশমনি গাছ (গোলাই) আটক করেছে স্থানীয় জনতা। এরপর খবর পেয়ে সেখান থেকে গাছগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যান বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বন বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা। এতে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসনহাট থেকে ২ কিঃ মিঃ দক্ষিণে বন বিভাগের নয়াকাঠি বন বাগান রয়েছে। সেই বন বাগান থেকে দিনের পর দিন একটি চক্র চুরি করে মুল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নয়াকাঠি বন বাগানের ১৪টি আকাশ মনি গাছ চুরি করে কাটে চক্রটির সদস্যরা।

বুধবার (৮ মার্চ) গাছগুলো চার্জার ভ্যানযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ৮টি গাছের গোলাইসহ ভ্যানচালকে আটক করে বন বিভাগে খবর দেন। পরে আটক ভ্যানচালক মুকুল মিয়ার দেওয়া তথ্যমতে ময়েনপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামের শমসের মিয়ার ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী লাল মিয়ার (৫২) বাড়ি থেকে আরও ৬টি গাছের গোলাই উদ্ধার করা হয়।

এখন পর্যন্ত বন বিভাগের গাছ চুরি করে কর্তন ও বিক্রি করা এ চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সরকারী বন বিভাগের মুল্যবান গাছ দিনে রাতে কেটে বিক্রি করে আসছে।

তাদের কর্মকান্ডে যেন মনে হয় এসব দেখার বা বলার কেই নেই। সরকারী বন বিভাগের গাছ চুরি করে কর্তন ও বিক্রি করা এ চক্রের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ আছে বলেও তারা জানান। তারমধ্যে একটি গ্রুপ গাছ কাটে। একটি গ্রুপ পরিবহন করে। (কখনো চার্জার ভ্যান, কখোনো ট্রাক্টর, কখনো পিক-আপ দিয়ে)।

একটি গ্রুপ বিক্রি/ক্রয় করে। আর কোন একজন করাত কল (স’মিল) মালিক গাছগুলো তার করাত কল (স’মিল) এ স্থান দিয়ে সহযোগীতা যোগায়। গাছ বিক্রির পর সকলে মিলে চোরাই গাছ বিক্রিত টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।এমনি ভাবে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে এই সংঘবদ্ধ চক্রের সরকারী বন বিভাগের গাছ চুরির কারবার।

স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, এদেরকে এলাকাবাসী আটক করলেই কেবল তারা আটক হন। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ কখনোই তাদের গাছ চুরির বিষয়ে অনুসন্ধান/তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন না। বন বিভাগের অসাধু ২/১জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও এই চক্রের সাথে জড়িত বলে দাবী এলাকাবাসীর। কাঠ ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, আমি ব্যবসা করি।

আমার কাছে কাঠ বিক্রি করায় আমি কিনেছি। আমিতো বনে গাছ কাটতে যাই নাই। তারমতে একটা গাছ কিভাবে চুরি করে কাটা সম্ভব। বনকর্মীরা কি করে।এ বিষয়ে মিঠাপুকুর হেলেঞ্চা বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই এলাকা থেকে গাছগুলো উদ্ধার করে হেলেঞ্চা বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।

জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিভাগীয় মামলা করা হবে। তিনি স্থানীয়দের অভিযোগের আংশিক স্বীকার করে তাঁদের কতর্ব্যে অবহেলা বা যোগসাজসের কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, এর আগে তিনি রাত্রিকালীন টহলকালে ট্রাকসহ চোরাই গাছ আটক করেছেন। এমনকি বনচোরদের দ্বারা তিনি হামলারও স্বীকার হযেছেন।

বনচোরদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীও কথা বলেন না, সাক্ষী দেন না। ফলে তারা জামিন/ছাড়া পেয়ে যান। কখনো কখনো ওই চক্রেরই ২/১জন তাদের স্বার্থহানীর কারনে চোরাই গাছ ধরিয়ে দেয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD