ফরিদপুরের সালথার মীরকান্দি গ্রামের ভ্যানচালক লাভলু ফকিরকে (৪০) হত্যা করে তার ভ্যানগাড়ি লুটের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।লুট হওয়া ওই ভ্যানগাড়িটির কিছু যন্ত্রাংশও উদ্ধার হয়েছে।হত্যা মামলা দায়েরের পাঁচদিনের মধ্যেই এ ঘটনার রহস্য উম্মােচন করলাে সালথা থানার সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মােঃ তরিকুল ইসলাম।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) মােঃ সুমিনূর রহমান,ওসি (ডিবি) সুনীল কুমার কর্মকার,সালথা থানার ওসি মােঃ আশিকুজ্জামান,সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মােঃ মিজানুর রহমান সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃতরা হলাে,মীরকান্দি গ্রামের মৃত মােফাজ্জল ফকিরের ছেলে হাতেম ফকির (৩২),একই গ্রামের সাবেক মেম্বার ভুট্ট মাতুব্বরের ছেলে সােহাগ মাতুব্বর (২২),কুদ্দুস মীরের ছেলে মিলন মীর (২৫),দক্ষিণ আটঘর গ্রামের মৃত তাজু গাজীর ছেলে ওহিদ গাজী (৩২) ও বােয়ালমারীর সুগন্ধি গ্রামের আকুব্বর খানের ছেলে আজিজুল খান (২৬)।
সােমবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত পর্যন্ত বিভিনস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গত ৯ আগস্ট রাতে সালথার মীরকান্দি গ্রামের হােসেন ফকিরের ছেলে লাভলুকে খুন করে তার ভ্যানগাড়িটি লুট করা হয়।পরেরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হনুফা বেগম ১২ আগস্ট সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মােঃ তরিকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান,পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাঙ্গীরপাড় পাকা রাস্তার উপর লাভলু ফকিরের নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা ও ভ্যানগাড়িটি কেড়ে নেয় আসামীরা।এরপর তাকে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী মিল মাঠের ডােবায় ফেলে রাখে।
তিনি বলেন,আটক আসামীরা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।লুট করা টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় এবং ভ্যান গাড়ীটির বিভিন্ন অংশ খুলে আলাদা করে লুকিয়ে রাখে।গ্রেফতারের পর আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে ভ্যান গাড়ীটির এসব অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।