মুন্সীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়াকে কে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের নির্যাতনে সুমা বেগম নামের ৩ মাসের অন্তসত্বা গৃহবধুর গর্ভপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মুস্তফাগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী সুলতান বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ও থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,উত্তর মধ্যপাড়া গ্রামের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য হাসি বেগমের স্বামী পান্নু খানের জমিতে সুলতান ও তার স্ত্রী সুমা বেগম ৪শ ও ৩শ টাকার রোজে ধান কাটার কজ করে প্রায় ১ বছর আগে।পান্নু খান তাদের ৩ শ টাকা দেয় বাকি ৪শ টাকা বাকি থাকে।
ইউপি সদস্য হাসি বেগমের বাড়িতে সেই পাওনা টাকা চাইতে যায় সুমা বেগম।সেখানে ইউপি সদস্যের সাথে হাসির বাক-বিতন্ডা হয়।গত মঙ্গলবার ইউপি সুমা ইউপি সদস্য হাসি বেগমের বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে গেলে হাসি বেগম তাকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করে।সুমা বেগম তার প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্য হাসি বেগম সুমাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এসময় ইউপি সদস্য হাসি বেগম ও তার স্বামী পানু খান (৫৫) ও ছেলে রনি খান (২৫) সুমা বেগমকে মারধর করে ও দড়ি দিয়ে হাত পা বেধে রাখে।এ সময় সুমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে।
বর্তমানে সুমা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ মাসের অন্তসত্বা সুমা বেগম গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগে করেন।এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হাসি বেগম জানান,আমাকে কয়েক দিন থেকে সুমা গালিগালাজ করতেছিল তাই আমি সুমাকে কোমরে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসি।পরে তাকে কয়েকটা থাপ্পর দেই।
আমার স্বামী ও ছেলে সুমাকে মারে নাই।উল্টা সুমা আমাকে মারধর করেছে।আমার গলা টিপে ধরেছে।এই বিষয়ে ঐ দিনই স্থানীয়দের ডেকে বিচার করি এবং সুমা ও তার স্বামীর স্বাক্ষর রেখে দেই।এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আজগর হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।