করেনার প্রভাবে কর্মহীন ২ হাজার শ্রমজীবি মানুষ ও দুর্গাপুরে অনাথালয়ে এতিমদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শুক্রবার সকালে জেলা শহরের মোক্তারপাড়ায় আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ও মালনী এলাকায় চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে এক হাজার ২৫ জন ইজিবাইক চালকের মধ্যে চাল, ডাল, তেল ও লবন দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান উভয় স্থানে বিতরণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, সদর ইউএনও মাহমুদা আক্তার, নেত্রকোনা পৌর সভার প্যানেল মেয়র- ১ এসএম মহসিন আলম, রেডক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের সেক্রেটারী গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে একই স্থানে ৯শ সিএনজি চালক এবং সদর উপজেলার চল্লিশার রাজেন্দ্রপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া জেলার দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নের মানব কল্যান কামী অনাথালয়ের এতিম শিশুদের জন্য শুক্রবার জেলা প্রশাসন থেকে এক মেট্রিক টন চাল, মুরগী, ডিম, তেল, ডাল ও আলু দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান শুক্রবার এ সমস্ত খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন।অনথালয়ের শিশু সঞ্চি চাকমা বলেন, করোনার আগে আশ্রমে অনেক সময়ই ভালো মন্দ খাওয়া হতো। দেশে করোনা হওয়ার পর এখন আর বাহিরের কোন অতিথি এখানে আসেন না, আমরাও ভালোমন্দ খেতে পারি না। ডিসি স্যার ও দুর্গাপুরের ইউএনও স্যারের দেওয়া খাওন (খাদ্য) কয়েকদিন একটু ভালোমন্দ খেতে পারব।
নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার জানান, খাদ্যসামগ্রীর মাঝে প্রতিজনে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডা, এক কেজি লবন ও এক লিটার তেল রয়েছে।নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম আগামী দিনেও চলমান থাকবে।