পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনার আওতায় ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সুমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন কবলিত ১ হাজার ৬ শত ৫০ মিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের কাজ এগিয়ে চলেছে।স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতের কারণে সুমেশ্বরী নদীর দু তীরে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় বহেড়াতলী,কুল্লাগড়া,ভূলিপাড়া, ডাকুমারা,বেলতলী,শিবগঞ্জ,ফাড়ংপাড়া, বড়ইকান্দিসহ নদী তীরবর্তী অনেক এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় নদী ভাঙ্গন এলাকার লোকজন তাদের জমি জায়গা ও বসতবাড়ী রক্ষার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,প্রশাসনসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে বার বার আবেদন জানিয়ে আসছে।এরই প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড,নেত্রকোনা নদী ভাঙ্গন এলাকার জনগনকে রক্ষা এবং নদী ভাঙ্গন রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,নদী ভাঙ্গন রোধ কল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের আওতায় জিও ব্যাগ ফেলে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।এর মধ্যে ১ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বহেড়াতলী থেকে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত ৩ শত মিটার,১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুর্গাপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের আইডিয়াল স্কুলের পাশ্ববর্তী ৩ শত মিটার,
১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুর্গাপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ডাকুমারা বেলতলী হতে শিবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ২ শত ৫০ মিটার,১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ভূলিপাড়া পর্যন্ত ৩ শত মিটার,১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সীমান্ত পিলার থেকে ফাড়ংপাড়া পর্যন্ত ২ শত ৫০ মিটার,১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কুল্লাগড়া থেকে বড়ইকান্দি মিশন স্কুল পর্যন্ত ৩ শত মিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
বড়ইকান্দি এলাকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বাসিন্দা মিন্টু রিছিল জানায়,নদী ভাঙ্গণের কারণে বেশ কয়েক বার বসত বাড়ী সড়িয়ে নিয়েছি।সরকার নদী ভাঙ্গন রোধ কল্পে জিও ব্যাগ ফেলে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে।আমরা সরকারের কাছে স্থায়ী নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি।ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুসিরামা সাংমা জানান,নদীর তীর রক্ষা বাঁধ যাতে টেকসই হয়,সে জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেরকে যথাযত দায়িত্ব ও নিয়মিত মনিটরিং করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান,এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ পেলে সুমেশ্বরী নদীর দুই তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারের কোন গাফেলতি সহ্য করা হবে না।জিও ব্যাগের বাঁধও স্থায়ী বাঁধের চেয়ে কম নয়।পর্যায়ক্রমে নদী ভাঙ্গন এলাকার আরো বাঁধ নির্মাণ করা হবে।