চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। অদ্য ১০ জানুয়ারি (সোমবার) ২০২২ খ্রি. বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। পরে বেলা ১২.৪৫ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালির জন্য এক আনন্দঘন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা এসেছিল। স্বাধীন দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল দেশ গঠনের একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন। কীভাবে ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে তিনি সুদূরপ্রসারী রূপরেখা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী দেশরতœ শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।” চুয়েট ভিসি আরো বলেন, “একটি দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”