চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের আয়োজনে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিশনের অধীন সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের সহযোগিতায় “কোয়ান্টিটিভ রিসার্চ মেথড্স অ্যান্ড ডাটা অ্যানালাইসিস উইথ ‘আর’ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (Quantitative Research Methodology & Data Analysis with R Programming Language)” শীর্ষক ১৬ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। আজ ০৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার), ২০২১ খ্রি. সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ইউআরপি বিভাগের সেমিনার কক্ষে উক্ত কর্মশালার উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব এটিএম শাহজাহানের সঞ্চালনায় এতে রিসোর্স পারসনদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ইউআরপি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সরফরাজ গণি আদনান।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে থাকছেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিক, নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক জনাব দেবাশীষ রাজা রায়, সহযোগী ড. মো. সরফরাজ গণি আদনান, সহকারী অধ্যাপক জনাব খাতুন-ই-জান্নাত, সহকারী অধ্যাপক জনাব সৌরভ দাশ ও সহকারী অধ্যাপক জনাব কে.এম. আশরাফুল ইসলাম। উক্ত কর্মশালায় সারাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয় বলেন, “চুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা গবেষণায় সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। সে লক্ষ্যে আমাদের শুধুই গবেষণানির্ভর অনেকগুলো ডিগ্রি প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রের চলমান অগ্রগতি ও উন্নয়নযজ্ঞে অবদান রাখতে গবেষণার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ বিগত কয়েক দশকে কৃষিতে বিপ্লব সাধন করেছে। বর্তমানে ডিজিটাল খাতেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির এই যুগে উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় সেই সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দশক পরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নগরায়নের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হবে। সেজন্য টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে।”