স্থানীয় ও ভুক্তভোগী যৌন হয়রাণীর শিকার শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নুরমোহাম্মদ ৯নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ আলামিনের পিতা। বিগত দিনে এলাকার বিভিন্ন নারীদের কুপ্রস্তাব দেয়ার অপরাধে অনেকবার সালিশ ব্যবস্থাও হয়েছে। এর আগেও অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের লালসার শিকার হয়েছে এলাকার অনেক পশু এমন অভিযোগও করেন এলাকাবাসি। অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ লতাবাড়িয়া গ্রামের মাদ্রাসা পড়ুয়া চার শিশুকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন যাবত যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি (নুর মোহাম্মদ) নানা কৌশলে ওই শিশুদের প্রলুব্ধ করতে চেষ্টা করতেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ৪ শিশুকে ডেকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে যৌন হয়রানি করলে শিশুরা দৌড়ে বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি অভিভাবকদের জানানোর পর শনিবার দুপুরে তারা বরগুনা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা জানতে বিকেলে তাকে (নুর মোহাম্মদ) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়। অতঃপর অভিযোগের সত্যতা পেলে ৩০ অক্টোবর তাকে(নুর মোহাম্মদ) আটক করা হয় এবং ৩১ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়। আদলত অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বরগুনা সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, অশ্নীল ভিডিও দেখিয়ে চার শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে নুর মোহাম্মদ নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে ওই শিশুদের স্বজনরা। রবিবার (৩১ অক্টোবর) নুর মোহাম্মদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে, আদালত অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।