কুমিল্লা জেলায় শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর হাট শুরু হয়েছে।তবে, হাটগুলোর অবস্থা দেখে বোঝার কোনো উপায় নাই যে এখন করোনা মহামারি চলছে।জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা জেলায় এবার মোট ৩৫১টি গরুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরের তুলনায় এই সংখ্যা কম।শহর এলাকায় এবার কোনো পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শনিবার কুমিল্লার নেউরা, ময়নামতি, কালিরবাজার প্রভৃতি এলাকায় কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পশুর যথেষ্ট আমদানি আছে, তবু দাম চড়া।কিন্তু, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো লক্ষণ নেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে।করোনা সংকট চলাকালে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও, বাস্তবে কোরবানির পশুর হাট পরিণত হয়েছে জনস্রোত।
উন্মুক্ত এই হাটগুলোতে করোনা সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন সমাজ।এর আগে, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু আছে।জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ এ সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করে তারা ব্যবস্থা নেবেন।