কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রুমমেটের দেওয়া ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চারিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে ১২টার দিকে (২১ নভেম্বর) বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ মোড় এলাকার এক ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে জ্ঞানহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যালে নেওয়া হয়। তবে কুমেকে আইসিইউ খালি না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। মেসে অবস্থান করা অন্য ছাত্রীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ছাত্রী ও তার রুমমেটের মধ্যে গেস্ট আসা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই ছাত্রীর ছেলে বন্ধুরাও বিষয়টিতে জড়িয়ে সমস্যা বড় আকার ধারণ করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস ও মেস মালিকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়। তবে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ছাত্রী ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সম্ভ্রমহানির শঙ্কা প্রকাশ করেন অপর ছাত্রী। এ ঘটনায় পাল্টা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রীর রুমমেট নিজের মানসিক চাপের কথা উল্লখ করে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন। পরে তার কক্ষে গিয়ে মেসের অন্য ছাত্রীরা তাকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে কুমিল্লা মেডিক্যালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ড. শাহজালাল এ বিষয়ে বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তাকে আইসিইউতে রাখা দরকার। তাই আমরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমার কাছে এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করবো। আরেকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি তাই তাড়াহুড়ো করছি না। দুই পক্ষের কথা শুনেই সমাধান করা হবে।