কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আঙ্গিনায় ফুটে আছে লাল, সাদা শাপলা ও পদ্ম ফুল। অভিনব পদ্ধতিতে কলেজ ক্যাম্পাসে চাষকৃত পদ্ম ও শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন স্থানীয়সহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক ফুল প্রেমি। এই কলেজ ক্যাম্পাসে ফুঠে থাকা বাহারী ফুল গুলো যেন দক্ষিণা বাতাশে হাতছানি দিয়ে ডাকে মানুষকে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরে অবস্থিত মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হরেক রকমের বাহারী ফুলে মুখরিত কলেজ ক্যাম্পস। কলেজের অফিস কক্ষের সামনে রয়েছে অভিনব পন্থায় নির্মিত একটি বর্ষা মৌসুমের শাপলা, পদ্মা ফুলের বাগান। বর্তমানে ফুটে থাকা লাল ও সাদা শাপলা এবং পদ্ম ফুলের সৌন্দর্যে মুখরিত হয়ে আছে কলেজ ক্যাম্পাস। কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা রিয়াজুল ইসলাম জানান, আমি সুযোগ পেলেই এই কলেজ ক্যাম্পাসে আসি। কলেজর পরিবেশটা অনেক সুন্দর। আজকেও আমার দুই সন্তানকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে নিরিবিলি সময় কাটাতে ভালো লাগে।
শিক্ষার্থী তাহমিনা ভূইয়া বলেন, আমি এই কলেজেই দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি। কলেজের পাশেই আমাদের বাসা। বিকেল হলে প্রতিবেশিদের সাথে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পরন্ত বিকেলটা বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে উপভোগ করি। এক প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, নিরিবিলি পরিবেশে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে কর্মব্যস্তার পর এই কলেজ ক্যাম্পাসে আসি। শান্তিপুর্ণ পরিবেশে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর বাসায় ফিরি। কলেজ ক্যাম্পাসে ফটোগ্রাফি করতে আসা কয়েকজন যুবক বলেন, আমরা মানুষের মুখে শুনেছি এই কলেজের ক্যাম্পাসে পদ্ম ফুল ফুটে আছে এবং কলেজ ক্যাম্পাসটি অনেক সুন্দর। তাই এখানে ঘুরতে এবং ছবি তুলতে আসা।
এব্যাপারে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলতাফ হোসেন দৈনিক কালজয়ীকে জানান, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীর পরামর্শে কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরু থেইে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ফুলের বাগান করা হয়েছে। তবে ২০১৭ ইং সালে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ছোট একটি সেমি পাকা ডোবা তৈরি করে সেখানে দেশী, বিদেশী শাপলা ও পদ্ম ফুল রোপন করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে যখন শাপলা এবং পদ্ম ফুল ফুটে তখন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে। তিনি জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রকমের ফুল চাষের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি মানষিক উৎফুল্ল ও সৌন্দর্য বিকাশিত করাই মূল লক্ষ্য। তবে কলেজের এই সৌন্দর্যকে সমৃদ্ধি করার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে অচিরেই একটি ঝর্ণা ফোয়ারা নির্মান করা হবে।