পবিত্র ঈদ উল আযহার পালনের আনন্দ শুরু হতেই আবার ঈদ পরবর্তী লকডাউন শুরুর দিনে বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দোকান। সবজি বিক্রেতা দোকান খুললেও দাম চড়া।ঈদুল আযহার আগে বেড়ে যাওয়া টমেটো ও গাজরের দাম আকাশচুম্বী।৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো ও গাজর মিলছে না শটাকার উপরে।
শুধু এই দুই সবজিই নয় কাঁচামরিচের দামও কেজিপ্রতি প্রায় ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।ঈদ পরবর্তী লকডাউন শুরুর দিনেই এমন উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সরাইল উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।ঈদ পরবর্তী লকডাউন শুরুর দিনে কিছু সবজি বিক্রেতা দোকান খুললেও দাম চড়া। বিক্রেতার পাশাপাশি ক্রেতাও কম।বাজারে মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।সবজি বাজার ঘুরতে বিক্রেতারা জানান, এখন বাজারে যে টমেটো পাওয়া যাচ্ছে, তা কোল্ডস্টোরেজের। শখ করে অল্পকিছু মানুষ এই টমেটো কিনে খায়। তারা আরো বলেন,ঈদের কারণে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বেড়েছে।অনেকে সালাদ খাওয়ার জন্য কিনছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এ দুটি পণ্যের সরবরাহ কম, এ কারণে দাম বেড়েছে। গাজর এমনেইতে দাম বেশী।ঈদের পর আবার আগের দামে ফিরে গেছে।
বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০- থেকে ৪৫ টাকা, মুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লিভো ২০ থেকে ৩০ টাকা, ঝিঙের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলার কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, এছাড়া আগের মতো ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৩০ থেকে ৪০।কাঁচকলার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, তা ঈদের আগে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া আদা এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের কেজি আগের মতো ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।বিশেষ করে বাজারে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল।অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যে- দ্রব্য ইচ্ছামতে দাম হে কিয়া নিচ্ছে।।