লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় বৃদ্ধা মা’কে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে ঘাতক ছেলে মো. ইমান আলীকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে ছেলে কে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. ইমান আলী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন গোবধা ভিতরকুটি গ্রামের প্রয়াত জসীম উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ গোবধা ভিতরকুটি গ্রামের ইমান আলী তার বোন রহিমা বেগমের ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘ দিন ধরে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। সেই জমি জবর দখলের প্রতিবাদ করায় কিছুদিন আগে ইমান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা জামিলা বেওয়ার (৮১) থাকার একমাত্র ঘরটি ভেঙ্গে দেয়। যা নিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতীকার পাননি বৃদ্ধা জামিলা। সেই বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রতিবছরের ন্যায় শুক্রবার দুপুরে রহিমার ছেলে আব্দুল গফুর চাষাবাদ করতে গেলে ইমান আলী দলবল নিয়ে হামলা চালায়। নাতীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ইমান আলীর বৃদ্ধ মা জামিলা। এ সময় ইমান আলী দা দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধা মায়ের হাতে রক্তাক্ত জখম করে। মায়ের চিৎকার শুনে অপর ছেলে শফিকুল ইসলাম, মেয়ে রহিমা ও জামাই রশিদ এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালায় ইমান আলী ও তার পরিবারের লোকজন।
পরে তাদের আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে শুক্রবার রাতে ইমান আলীকে প্রধান করে ০৭ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করেন ছোট বোন রহিমা বেগম। এ মামলায় রাতেই আদিতমারী থানা পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ইমান আলীকে গ্রেপ্তার করে। হাসাপাতালের বেডে চিকিত্সাধীন আহত বৃদ্ধা জামিলা বেওয়া বলেন, পেটের ছেলে আমার বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছিল, বিচার চেয়েও পাইনি। আজ সেই ছেলের দায়ের কোপে রক্তাক্ত হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়েছিলাম। অমানুষ ছেলের বিচার চাই।
আদিতমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ছেলের হাতে বৃদ্ধা মা রক্তাক্তের ঘটনাটি বড়ই মর্মান্তিক। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।