মুন্সীগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।এ সময় বাজারে দুটি স্বর্ণের দোকান থেকে আনুমানিক একশ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ লক্ষাধিক টাকা ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে।১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাত ২ টার সময় সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের তথ্য সুত্রে জানা যায়,বুধবার দিবাগত রাতে মেঘনা নদী হয়ে মেঘনার শাখা নদী রজতরেখা নদী দিয়ে বাজারে ট্রলার দিয়ে প্রবেশ করে ২০ থেকে ২২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল।এ সময় বাজারের দুই নৈশপহরী ও পরে বনিক স্বর্ণশিল্পালয় নামের দোকান ও সংলগ্ন বাড়ির লোকজনকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে।পরে নিখিল বনিক স্বর্নের দোকান থেকে আনুমানিক একশ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৩০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয়।
পরে পার্শ^বর্তী মনুনাগ স্বর্ণ শিল্পালয় থেকে ৬/৭ ভরি স্বর্ণ লুট করে।এ সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করে এবং একই সময়ে মসজিদে মাইকিং করা হয়।এরপরই স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে একই পথে পালিয়ে যান ডাকাত সদস্যরা।এ সময় ট্রলারযোগে ঘটনাস্থলে যেতে থাকলে টলারের শব্দ পেয়ে পুলিশের টলারে ককটেল নিক্ষেপ করে ডাকাতদল।
নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের পরিচালক প্রিয়া দাস জানাম,আমাদের তিনটা সিন্দুক ও দুইটা আলমারি ভেঙে ১০০ ভরির ওপরে স্বর্ণ ও ৩০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা।মুননাগ স্বর্ণ শিল্পালয় ও বাজার মালিক সমিতির সভাপতি রনি নাগ জানান,দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে সশস্ত্র ডাকাতদল আমার দোকান থেকে সাত-আট ভরি স্বর্ণ নিয়েছে।
চিতলিয়া বাজার সমিতির সভাপতি মোঃ কাজল জানান,বাজারে স্বর্ণব্যবসায়ী বাসু নাগ আমাকে ডাকাত আসছে বলে ফোন করে জানায়।আমি মসজিদের মুয়াজ্জিনকে মাইকিং করতে বলি।মসজিদে মাইকিং করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমণ দেব জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।পুলিশের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পুলিশের সদস্যরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে থাকলে ডাকাতদল ট্রলারের শব্দ অন্ধকারের মধ্যে একটি ককটেল ছুড়ে মারে।