বোয়ালমারী পৌর সদরস্থ সোতাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাদিরা বেগমের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষার জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলে। জানা যায়, তামান্না ইয়াসমিন যুথি নামে স্কুলের এক শিক্ষার্থী ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষায় অংশ নেয়। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর তারিখে তার নামে ইস্যু হয় একটি সনদ।
এতে বর্ণিত তথ্যে দেখা যায় তামান্না ইয়াসমিন যুথীর রোল নম্বর, ম-১৯৯৩, প্রাপ্ত ফলাফল-জিপিএ ২.৫০। পিতার নাম- কোবাদ সিকদার, মাতার নাম- মনিরা বেগম। কিন্তু পরবর্তীতে এ সনদে মাধ্যমিকে ভর্তি হতে গিয়ে বাধে বিপত্তি । স্কুল কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত রোল নম্বরে অনলাইন সার্চ করে দেখতে পান সনদটি জাল। ১৯৯৩ রোল নম্বর ধারীর আসল নাম শুধু তামান্না, পিতা- ইছহাক শেখ, মাতা- সেলিনা বেগম। ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
একটি সূত্রের মতে, শিক্ষিকা নাদিরা বেগম অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে জাল সনদ দিয়ে থাকতে পারেন, এটা খুবই অন্যায়, দূঃখ জনক। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষিকা নাদিরা বেগম বলেন, এটা জাল সনদ নয়। ভুলবশত কেন্দ্র থেকেই উল্টা-পাল্টা তথ্য সংযুক্ত হয়েছে। এটা সংশোধন করে দেয়ার কাজ চলছে।