ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার রসুলপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়ার আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রনজিত কুমার মন্ডলের পক্ষে একটি বিশাল মিছিল এসে রসুলপুর বাজারে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মিছিলটি স্লোগান দিতে দিতে কামাল হোসেন মিয়ার সভায় ঢুকে পড়ে এবং তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে নগরকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ইটের আঘাতে পুলিশের তিন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন বলেন, হামলার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রনজিত কুমার মন্ডল ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের এপিএস সফিউদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছোটভাই অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এভাবে আধিপত্য চালালে আমরা নির্বাচন করবো কীভাবে। তারা (নৌকা মার্কার সমর্থক) চাচ্ছে আমরা তাদের হামলার ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই।
কিন্তু ওদের আশা পূরণ হবে না। আমাকে ও আমার সমর্থকদের ওপর যতই হামলা হোক আমি জীবিত থাকতে নির্বাচন থেকে সরবো না। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা দীর্ঘদিন এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার মা বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা আমার নির্বাচনী অফিসও ভাঙচুর করেছে। আমার পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দিবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রনজিত কুমার মন্ডল বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।