বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মডেরখাল এলাকায় আইনের তোয়াক্কা না করে লাল নিশান টানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল নিয়েছে একজন হত্যা মামলার আসামি মো. লোকমান। সে ঐবাড়ির কোনো অংশীদার নয়, লোকমান প্রতিপক্ষ গ্রুপের জামাই।
লোকমান এলাকায় জলদস্যু নামেই পরিচিত, উল্লেখ যে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মডেরখাল এলাকায় আঃ হামিদ গং ও আদেল উদ্দিন গং মধ্যে দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে ১৩.৪৩ একর জমি নিয়ে দেওয়ানী মামলা চলছে, সুত্র-১৯৯৫ সালে পাথরঘাটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা করেন আঃ হামিদ গং।
সে মামলাটি যথাযথভাবে না হওয়ায়, ১৯৯৬ সালে মামলাটি খারিজ করে দেন এবং বন্টণ মামলা দায়ের করতে বলেন, ঐ বছরই আঃ হামিদ গং বরগুনা দেওয়ানী কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। আঃ হামিদ গং ২০০০ সালে দেওয়ানী কোর্ট থেকে রায় নিজেদের পক্ষে পায়। ঐ বছর আদেল উদ্দিন গং হাই কোর্টে আপিল করেন দেওয়ানী কোর্টের বিরুদ্ধে রহস্য ক্রমে ২০২১ সালে ২১ ডিসেম্বর দেওয়ানী কোর্টের রায় বাতিল করে, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের খারিজ রায় বহাল রাখে।
২০২১ সালে আঃ হামিদ গং আবার সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন। এরইমধ্যে আদেল গ্রুপের জামাই লোকমান, একটি ভুয়া ডিগ্রী কাগজ বানিয়ে এলাকায় নিয়ে আসে এবং সঠিক তথ্য গোপন করে, স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন এর বরাবর দরখাস্ত লিখেন। সাংসদ স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েল এর নিকট পাঠিয়ে দেন। চেয়ারম্যান দুই গ্রুপকে ডেকে পাঠান এবং আদেল গং এর কাছ থেকে ১০ হাজার নগদ টাকা জামানত রেখে শালিসির দিন তারিখ ধার্য্য করে দেন।
কিন্তু আদেল উদ্দিন গং জামাই লোকমান, শালিসির অপেক্ষা না করে রাতের আঁধারে তার ১০০/১৫০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে। প্রতিপক্ষের খেশারি ডাল চাষকৃত জমিতে চারটি বড় ধরনের লাল নিশান টানিয়ে, টিলার দিয়ে ডাল গাছ মাড়িয়ে দেন এবং মূগডাল চাষ করেন। লোকমানের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমি দখলে প্রতিপক্ষ বাঁধা দিলে ব্যাপক মারপিট হত।
আঃ হামিদের ওয়ারিশ মোঃ হাসিবুর রহমান মিরাজ, অভিযোগ করেন, লোকমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার কাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ এর কবর তুলে ফেলবেন বলে হুমকি দেন।