1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
৭ মাস বয়সেই মা-বাবা ও বোনকে হারাল শিশুটি
বাংলাদেশ । সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ।। ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
মাছ মারতে যাওয়ার পথে জেলেরই মর্মান্তিক মৃত্যু!! স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল সন্ধ্যা নামলেই এলইডির তিব্র আলো ঘটছে দুর্ঘটনা : চোখের মারাত্মক ক্ষতি শিলাবৃষ্টিতে দোয়ারাবাজারে সহস্রাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত!! ব্রিজ পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেই; জনগণের ভোগান্তি চরমে! ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ট দৌলতপুরের মানুষ! রেলক্রসিংয়ে গেটকিপার ঘুমিয়ে, অল্পের জন্য রক্ষা পেল দুটি ট্রাকসহ পথচারী চুরি হলো সেই শহীদ ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভে দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রী তমা হত্যার খুনি লিটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল ডাঃ তাহসীন বাহার সুচনার বিজয়ে কুমিল্লার লন্ডন প্রবাসীদের ইফতার ও মিষ্টি বিতরন

৭ মাস বয়সেই মা-বাবা ও বোনকে হারাল শিশুটি

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৩৮ বার পড়েছে

প্রবল বৃষ্টিতে জমা পানিতে রাজধানীর মিরপুরে বিদুৎস্পৃষ্টে পরিবারের মা-বাবা-বোন হারানো সাত মাসের শিশু হোসাইন বেঁচে আছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মিরপুর হাজিরোড ঝিলপাড় বস্তির সামনে প্রবল বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতার পানিতে পড়েছিল সাত মাস বয়সের এক শিশু। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনার স্থান থেকে শিশু হোসাইনকে উদ্ধার করা হয়।

অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশু হোসাইন। মায়ের কোলে থেকে ছিটকে পানিতে পড়ে যাওয়ায় পর পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে অনিক নামের এক যুবক। পরে হোসাইনের বোন লিমাকে বাঁচাতে গিয়ে অনিকও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

বর্তমানে শিশু হোসাইনের দেখাশোনা করছেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। তিনি ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দা।

এছাড়াও শিশু হোসাইনকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে হিজড়া জনগোষ্ঠীর বৃষ্টি। এই বৃষ্টিই রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোসাইনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন নিহত হওয়ার ওই ঘটনাস্থল থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি হাসপাতালে নিয়ে আসে। শিশুটি ভালো আছে। চিকিৎসা শেষে ভোর ৪টার দিকে হোসাইনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম। সেখানে তিনি শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনা গণমাধ্যমকে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, হোসাইনের মা যখন কারেন্টের শক খেয়ে পানিতে পড়ে যায়, তখন হোসাইন মায়ের কোল থেকে ছিটিকে পড়ে যায় পানিতে। এ সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে আমার কোলে দেয়। আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে প্রথম শরীরে গরম তেল দেই। এরপর প্রথমে তাকে নিয়ে যাই সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান ডাক্তার হোসাইনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে রাত নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসার পর সকালে ডাক্তার বলে হোসাইন এখন সুস্থ। পরে আমি জানতে পারি হোসাইনের দাদা ও নানা মিরপুর মডেল থানায় আছে, তখন আমি এখানে আসি।

হোসাইনকে পা ধরে টেনে তোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় আহত হোসেনের পা ধরে টেনে তোলেন একজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD