পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সারা দেশে ১ কোটি পরিবারের মাঝে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ কার্যক্রম আগামীকাল ২০ মার্চ, রবিবার, সকাল ১০ টা থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৫টি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ১৫ পৌরসভা এলাকায় বিতরণ কার্যক্রম একযোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক সারাদেশে এক কোটি নি¤œ আয়ের মানুষের নিকট ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। পণ্য বিতরণের পূর্বে উপকারভোগী বাছাই, পরিবার কার্ড পূরণ, ডিলার নিয়োগ ও রবাদ্দ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসারে সম্পন্ন করা হয়। টিসিবি থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী প্যাকেট সংগ্রহ করা হয় এবং দুই কেজি করে পণ্য প্যাকেটজাত করা হয়। পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিং এর জন্য টিসিবি’র আঞ্চলিক খাদ্য গুলামাগার সহ উপজেলা পর্যায়ের ১৫টি গুদাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম জেলায় ৮৪ জন ডিলারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ টি ওয়ার্ড এবং ১৫ টি উপজেলার ১৯১ টি ইউনিয়ন এবং ১৫ টি পৌরসভায় মোট ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮২ জন উপকারভোগীর কাছে রমজানের পূর্বে প্রথম পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে প্রতিজনকে ২ কেজি চিনি, ২ কেটি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল বিতরণ করা হবে। প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুই ধাপে পণ্য বিতরণ করা হবে। ১ম ধাপ শুরু হবে ২০ মার্চ থেকে। প্রতি কেজি চিনির মূল্য ৫৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা হাওে নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা পণ্য ক্রয়ে অনুপস্থিত থাকবে এবং অনাগ্রহী হলে উপস্থিত ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্যাকেজগুলো বিক্রয় করা হবে। পরর্বতী ১০ দিনে মধ্যে কার্যক্রম শেষ করা হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, খাদ্য গুদামাগরে রাত-দিন দুই শিফটে শ্রমিক নিয়োগ করে পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। প্যাকেজিং প্রক্রিয়া যথাযত ও স্বচ্ছ হচ্ছে কিনা তা তদারকে করার জন্য জেলা প্রশাসনের ৬ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে এবং ১৫ টি উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ মনিটরিং টিম স্থানীয়ভাবে টিসিবি’র কার্যক্রম তদারকি করছেন। স্বল্পমূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করার লক্ষ্যে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকৃত কার্ডধারীরা যেনো কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই পণ্য নিতে পাওে সেই লক্ষে মনিটরিং ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।