মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, পরাজিত পাকিস্তানি অপশক্তি দেশের বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়া,কর্ণেল ফারুক, রশিদ গংদেরকে দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে। সেদিনের নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়।
নেতাকর্মী ও দেহরক্ষীরা জীবন দিয়ে সেদিন প্রিয় নেত্রীকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু প্রাণ হারিয়েছেন বেগম আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকীতে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, হাজী মো. হোসেন, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, বখতেয়ার উদ্দিন খান, হাজী বেলাল আহমেদ, ফিরোজ আহমেদ, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান, আসিফ খান।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমেদ, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, হাজী শহিদুল আলম, এম এ জাফর, বিজয় কিষাণ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, হাজী ছিদ্দিক আলম, মোমিনুল হক, হাজী মো. ইলিয়াছ, আনসারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, নূর মোহাম্মদ নুরু, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাশেম, মো. গিয়াস উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর, নিজাম উদ্দিন নিজু, মো. আলী নেওয়াজ, দিদারুল আলম মাসুম, মো. জানে আলম, মো. জামাল উদ্দিন, আবদুস শুক্কুর ফারুকী, মো. এরশাদ উল্লাহ, আকবর আলী আকাশ, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।
সভার শুরুতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকালে টিআইসিতে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনাকরেন দারুল ফজল মার্কেট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ফজল আহমদ।