এ ব্যাপারে গত ২৩ মে মৃতের বড়ভাই হোমনা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে মোঃ জুলহাস (৪২) বাদী হয়ে একই উপজেলার হোমনা সরদার বাড়ীর বাহাদুর মিয়ার ছেলে আসামি আজাদ মিয়া (৩৫), সালা উদ্দিন (২৮) ও নাসির উদ্দিন (২২) সহ ৩/৪জনকে আসামি করে হোমনা থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী নাজমুল হক গত ২৮ মে আসামি আজাদ মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর আসামি আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ এবং পলাতক আসামি সালাউদ্দিন ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সমভাবে পিসি ৩৪ ধারার অপরাধ সাক্ষ্য প্রমাণে সত্য বলিয়া প্রমাণিত হওয়ায় ১৩৭নং অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে বিজ্ঞ আদালত ২০১৬ সালে ১৪ আগস্ট সকল আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জ গঠনক্রমে রাষ্ট্র পক্ষে মানীত ২৭জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামি আজাদ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামিগণের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে দোষী সাবস্থক্রমে আসামি আজাদ মিয়া (৩৫) মৃত্যু দণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
রায়ে আরও উল্লেখ করেন মৃতুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিগণের মৃত্যু দণ্ডাদেশ মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির রুজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং অপর দুই আসামি সালা উদ্দিন (২৮) ও নাসির উদ্দিন (২২) এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজাদ মিয়াসহ অপরাপর দুই আসামিও আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্টপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করিবেন এবং আসামিপক্ষের এডভোকেট এইচ এম আবাদ বলেন- রায়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষ রায়ে কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপীল করবে ইনশাল্লাহ।