1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ড
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ড, ১৭ বছরেও সম্পন্ন হয়নি বিচার,৬ বছরে স্বাক্ষ্য গ্রহণ ৪৪ জনের

নূরুজ্জামান ফারুকী
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২
  • ২৩৯ বার পড়েছে
হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ড, ১৭ বছরেও সম্পন্ন হয়নি বিচার,৬ বছরে স্বাক্ষ্য গ্রহণ ৪৪ জনের

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৭ম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি), ২০২২। ২০০৫ সালের এই দিন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়াসহ ৫ জন নিহত ও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। হত্যাকান্ডের সাড়ে ৯ বছর পর সম্পূরক চার্জশীট দাখিলের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হলেও আজ পর্যন্ত হয়নি বিচারকার্য। এ কারনে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা। সূত্রমতে মামলার ১৭১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে গত ৬ বছরে স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ৪৪ জনের। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া।

হামলায় নিহত হন শাহ এএমএস কিবরিয়া, তাঁর ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। আহত হন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনার রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে কাজ করে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু মামলাটির স্বাভাবিক তদন্ত না হয়ে দলীয় বিবেচনায় পরিচালিত হতে থাকে। ৩ দফা তদন্তের পর সিআইডির এএসপি মেহেরুন নেছা দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাড়ে ৯ বছর পর ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩য় সম্পূরক অভিযোগপত্র নতুন ১১ জনকে অন্তর্ভূক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন।

অন্তর্ভূক্ত অভিযুক্তরা হলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী (গত অক্টোবরে তিনি মারা গেছেন-পারিবারিক সূত্র), মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিন, মুফতি সফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ, হাফেজ ইয়াহিয়া। এর পর ২০১৫ সালের জুন মাসে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। এর পর থেকে সেখানে বিচার কার্য শুরু হয়। চলছে সাক্ষ্য গ্রহন। ইতিমধ্যে চার্জশীটভূক্ত ৩ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে ২৯ জন আসামীর মধ্যে জামিনে রয়েছে ১২ জন, জেল হাজতে ১০ জন ও পলাতক রয়েছে ৭ জন। সূত্রমতে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আব্দাল জানান, ইতিমধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষি নেয়া হয়েছে। এটি আইনী প্রক্রিয়ায় চলছে। প্রসিকিউশনও প্রস্তুত আছে। এ প্রসঙ্গে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ কেউই হত্যাকারীদের বিচার করতে সক্ষম হয়নি। তবে এ দিন বেশি দূর নয়, যেদিন বাংলার মাটিতে আমার বাবার হত্যার বিচার হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৩ বছরেও কেন বিচার করতে পারেনি। মামলায় যে ৩টি চার্জশীট দেয়া হয়েছে তার সবগুলোকেই তিনি মিথ্যা বলে দাবি করে জানান, এ চার্জশীটগুলো তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের এ দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD