নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভিযান চালিয়ে ৮ টি ইটভাটার ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন নীলফামারী এর যৌথ উদ্যোগের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুন্না রানী চন্দ। প্রসিকিউটর হিসেবে তাঁকে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। এসময় নীলফামারী সদর পুলিশ বিভাগ এবং সৈয়দপুর ও নীলফামারী সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের একদল সদস্য সাথে ছিল।
জরিমানা প্রদানকারী ৮ টি ইটভাটা হলো যথাক্রমে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মুশরত ধূলিয়ায় মো. আতিকুল ইসলামের মেসার্স এম বি সি ব্রিকস, সাবু খানের মেসার্স টি বি এল ব্রিকস, মো. মাহাবুব আলমের মেসার্স এম বি ব্রিকস, কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল এলাকার মো. আহেদুল হকের মেসার্স এ স্টার বি ব্রিকস, কুজিপুকুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের এম এইচ ই ব্রিকস, কামারপুকুর বাজার সংলগ্ন মো. নজরুল ইসলামের মেসার্স এ এন বি-২ ব্রিকস, মো. লতিফুল রাজ্জাকের মেসার্স এম জেড এইচ ব্রিকস, বাঙালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহুনী এলাকার মো. সাইফুল ইকবালের মেসার্স আর এস বি ব্রিকস।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুসারে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৮ টি ইটভাটার মালিককে উক্ত আইনের ৫(১) ধারা লংঘনের দায়ে মোট ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্যপূর্বক আদায় করা হয়। এছাড়াও অভিযানকালে উল্লেখিত ইটভাটাসমূহের কিলনে পানি দিয়ে জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে দেয়া হয় এবং পানি স্প্রে করে কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় । এছাড়া কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটা পরিচালনা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।