সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ভালিশ্রী গ্রামের বড় ভাইকে কিডনী দিয়ে ছোট ভাই সোয়েব আহমদ দৃষ্টন্ত স্থাপন করলেন।কিডনী দেওয়ার খবর আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ে এই ত্যাগ স্বীকারকে ইতিহাস বলে ধন্যবাদ জানান এলাকার জনসাধারন।
জানা যায়,উপজেলার ভালিশ্রী গ্রামের মরহুম জহির আলীর তিন ছেলে বড় ছেলে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।২য় ছেলে হাফিজ রুহুল আমিন হাফিজি শেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের দায়িত্ব পালন করেন।পাশাপাশি পরিবারের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।গত বছর হঠৎ করে বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব হয়।
ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে বিভিন্ন টেষ্ট করে কিডনী সমস্যা পাওয়া যায়।ধারাবাহিক ভাবে সিলেট ঢাকাতে চিকিৎসা করে ফলাফল না পেয়ে গত ৬মাস ধরে ঢাকার কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে থাকেন।কিডনী জন্য বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে না পেয়ে শেষে হাফিজ রহুল আমিনের ছোট ভাই সোয়েব আহমদ কিডনী দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
পরিবারের সকলের মতামতে শোয়েব এর কিডনী এনে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধা ৭ পর্যন্ত একটানা অপারেশন করে কিডনী প্রতিস্থাপন করা হয়।কিডনী দেওয়ার দেওয়ার পর গত রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ে ভালবাসা নিয়ে এলাকার জনসাধারন পোষ্ট দিতে থাকেন।
কিডনী প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে সোয়েব এর ভগ্নীপতি কাজি আহমদ জানান,গতকাল বিকাল থেকে একটানা প্রায় ৪ ঘন্টা অপারেশন করে।কিডনী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।উভয় ভাই সুস্থ্য আছেন।এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লেখেন,ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন,সে কথাটি বাস্তবে প্রমান করে দিলে মায়ার ভাই শুয়েব।
শুধু জানতাম বড় ভাইরা বটবৃক্ষ হয়ে ছোটদের ছায়া দিয়ে যায়।কিন্তু আজ তুমি তুমার জীবন ভাজি রেখে বটবৃক্ষের ছায়ার মতো প্রিয় ভাই সোয়েব তুমার একটি কিডনি দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে নিলে।তা আজীবন বিরল হয়ে থাকবে।আমরা দোয়া করি তোমার মতো ভাই প্রতিটি পরিবারে জন্ম হউক।
তোমার প্রতি অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা মায়ার ভাই সোয়েব।ভাই শুয়েবের একটি কিডনি দানে আজ সোয়েবের বড় ভাইয়ের অপারেশন হয়েছে।তারা দুই ভাই আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছেন।তাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।আল্লাহ যেনো তাদেরকে তারাতারি সুস্থ করেন,আমীন।