সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ঢুকে চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে মিজানুর রহমান মিজান (২০) নামে এক যুবক। সে সুনামগঞ্জ শহরের হাছন নগর এলাকার বাসিন্দা। আজ মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই যুবককে আটক করেছে সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ। উল্লেখ্য এর আগেও গত বছর ডিসেম্বর মাসে এক নার্সকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় এই যুবক। পরে সালিসের মাধ্যমে ওই বিষয়টির নিস্পত্তি করা হয়।
জানাযায়, অভিযুক্ত মিজানের সৎ ভাই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে বাসায় নিতে আসে। কিন্তু দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাহিদ মাহমুদ বাসায় যেতে অপারগতা প্রকাশ করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলেন। এরপর মিজান তার ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসক জাহিদ মাহমুদ রোগীকে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র লিখার সময় হঠাৎ করে চিকিৎসককে চড় মেরে বসে মিজান।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিসুর রহমান বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
লাঞ্ছনার শিকার চিকিৎসক আবু জাহিদ মাহমুদ জানান, ‘মিজানুর রহমান নামের ওই লোক সকালে আমাকে রোগী দেখতে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি জরুরি বিভাগ ফেলে বাসায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানাই তাকে। এরপর সে রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসে এবং আমাকে লাঞ্ছিত করে। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘সকালে এক রোগীর স্বজন জরুরি বিভাগের ডাক্তারকে তার বাসায় নিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি যাননি। এরপর ওই রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে এসে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাতে সদর হাসপাতালের শ্রাবন্তী কোচ(২২) নামের এক নার্সের গলায় ছুরিকাঘাত করে আহত করেছিলো। সে সময় মিজানুরের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল এবং নার্সরা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।