1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
সিলেটের কানাইঘাটে সুস্বাদু মাল্টা চাষে সফল কৃষক মোহাম্মদ আলী
বাংলাদেশ । বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের কানাইঘাটে সুস্বাদু মাল্টা চাষে সফল কৃষক মোহাম্মদ আলী

শাহীন আলম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ৬৪০ বার পড়েছে
সিলেটের কানাইঘাটে সুস্বাদু মাল্টা চাষে সফল কৃষক মোহাম্মদ আলী
সিলেটের কানাইঘাটে সুস্বাদু মাল্টা চাষে সফল কৃষক মোহাম্মদ আলী

কৃষক মুহাম্মদ আলী ছোটকাল থেকে বাবার সাথে কৃষি কাজে জড়িত ছিলেন।এরপর জীবনের তাগিদে তরুণ বয়সে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে।সেখানে দীর্ঘ ৩৫ টি বছর শ্রমিকের কাজ করে দেশে ফিরে আসেন ২০১৬ সালের দিকে।দেশে এসেই আবারো কৃষি কাজ শুরু করেন।গবাদি পশু পালনের পাশাপশি বাড়ির আশপাশে নানা ধরণের সবজি চাষ শুরু করেন মোহামামদ আলী।

উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসেন পরিশ্রমি প্রবাশ ফেরত কৃষক মোহাম্মদ আলী।কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীকে তার বাড়ির বিশাল উঠানে নানা জাতের উচ্চ ফলশীল মাল্টা গাছের বাগান করার পরামর্শ দিলে এতে মোহাম্মদ আলী রাজি হন।এরপর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের রাজস্ব প্রকল্পের মাধ্যমে মাল্টা চাষ প্রদর্শনীর আওতায় কৃষি অফিসের তত্বাবাধনে মোহাম্মদ আলী তার বাড়ির উঠানে ২০ শতাংশ জমির উপর ৬০টি নানা উন্নত জাতের মাল্টা চারা রোপন করেন।

মোহাম্মদ আলীর পরিশ্রম আর কৃষি অফিসের তদারকিতে দুই বছরের মধ্যে চারা গুলো চোখ জুড়ানো এক মাল্টা বাগানে পরিনত হয়।সরেজমিনে কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউপির চটিগ্রামের মৃত ইছরাক আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাগানে ফলনশীল মাল্টার গাছ গুলো বড় হয়ে প্রতিটি গাছে অসংখ্য বড় সাইজের মাল্টা ধরে ঝুলে আছে।মাঝে মাঝে রয়েছে দুই একটি কমলার গাছ।কমলার গাছেও ঝুলে আছে কমলা।

কৃষক মুহাম্মদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,জীবনের সোনালী সময় টুকু প্রবাস কুয়েতে কাটিয়েছেন।দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে তেমন কিছু করতে পারেননি।দেশে চলে এসে ফের পুরানো পেশা কৃষি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন।ক্ষেতের জমিতে ধান চাষের পাশাপশি বসত বাড়ির আশপাশ এলাকায় সবজী বাগান,কলা বাগান,গবাদী পশুর খামার করেন।কৃষি অফিসের পরামর্শে নিজের বাড়ির উঠানে মাল্টা বাগান করে গত বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন।

এবছর এ পযর্ন্ত ২৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন।বাগানে আরো ২৫-৩০ হাজার টাকার মাল্টা রয়েছে।বিষ ও ফরমালিন মুক্ত অত্যন্ত সুস্বাদু মাল্টা তার বাগান থেকে অনেকে প্রতি কেজি ২ শত টাকা করে কিনে নিয়ে যান।পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন সহ পাড়াপ্রতিবেশীকেও মাল্টা দিয়ে থাকেন।তিনি আরো জানান মাত্র ৫ বছর সময়ের ব্যবধানে আজ তার বাগানটি আশানুরুপ ফল দিচ্ছে।প্রতিটি মাল্টা গাছে ৫০-৬০ কেজি মাল্টা ধরে থাকে।

কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোহাম্মদ আলী বলেন,মাল্টা চাষ অত্যান্ত লাভজনক কম পরিশ্রম অল্প পুজিতে বাগান করা যায়।বভিষ্যতে তিনি তার মাল্টা বাগানের পরিধি আরো বাড়ানো সহ কৃষি অফিসের পরামর্শে নানা জাতের সবজি,ফলজ বাগান করতে চান।এজন্য ব্যাংক থেকে পুজি দেওয়া হলে কৃষি কাজের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্ভী হওয়া যায় এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান তিনি।

মোহাম্মদ আলীর মাল্টা বাগান পরিদর্শন করে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হায়দার আলী বলেন,২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাল্টা চাষের প্রদর্শনী করা হয়েছিল।এসব প্রর্দশনীর মধ্যে কৃষক মুহাম্মদ আলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে তার বাগানটিতে বর্তমানে শতশত মাল্টা ধরেছে।একজন সফল কৃষক হিসাবে মোহাম্মদ আলী ভবিষ্যতে আরো বিভিন্ন ধরনের বাগান করতে চাইলে আমরা সার্বিক ভাবে তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করবো।

মোহাম্মদ আলীর পাশে কৃষি পরামর্শ দিয়ে সব সময় আমাদের সদর ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন ছিলেন।যার কারণে মাল্টা বাগানটি পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।যে কোন কৃষি পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা কৃষকের পাশে রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD