জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কবর সু-রক্ষার কাঠের বেড়া ভাংচুর ও কবরের উপর পেটানো নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া (ধোপাদহ) নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ ঘটনাটি ঘটেছে। কবরের কাঠের বেড়া ভাংচুর ও কবরের উপর পেটানো ঘটনায় এলাকায় ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। সরেজমিনে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া (ধোপাদহ)গ্রামের আব্দুল খালেক এর কাছ থেকে একই গ্রামের পাশের বাড়ীর সাইফুল ইসলাম ২০০৯ সালে বিলবালিয়া মৌজার ১৯০ নং দাগ থেকে ১০ শতাংশ ভুমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত ১০ শতাংশ ভুমি’র মধ্যে বিলবালিয়া (ধোপাদহ) নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র নামে ৭ শতাংশ ভুমি দান করেন। অবশিষ্ট ’৩ শতাংশ ভুমি সাইফুল ইসলাম তার জীবদ্দশায় কবর স্থানের জন্য রেখে দেন। উক্ত ভুমি আব্দুল খালেক এর ছেলে মিজানুর রহমান তার পৈতৃক জমি দাবী করে কামাল ফকির ও ইদ্রিস ফকির এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাতে মরহুম সাইফুল ইসলাম এর কবরের কাঠের বেড়া ভাংচুর ও কবরের ওপর লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এ ঘটনার খবর পেয়ে মরহুম সাইফুল ইসলাম এর ছেলে এনামুল হক সহ পরিবারের সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে এর প্রতিবাদ করলে মিজানুর রহমান সহ তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে লাঠিশোঠা নিয়ে মারমুখি অবস্থান নেয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে দু-পক্ষের মাঝে সংর্ঘষ বাধে। সংর্ঘষে এনামুল হক, আবু সাঈদ,রাশেদুল ইসলাম, রাসেল মিয়া এবং মিজানুর রহমান আহত হয়। গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ সাইফুল ইসলাম এর বিলবালিয়া (ধোপাদহ) নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার নামে দেয়া জমি চলতি বছরের ৯ ফেব্রয়ারী মিজানুর রহমান তার লোকজন নিয়ে জবর দখল করতে গেলে মরহুম সাইফুল ইসলাম এর পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করে। এ প্রেক্ষিতে মরহুম সাইফুল ইসলাম এর পরিবারের ৩ সদস্যদের মারপিট করে আহত করার ঘটনায় এনামুল হক বাদী হয়ে মিজানুর রহমান কে প্রধান আসামী করে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কামাল ফকির নামে একজন কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। এর পর থেকেই শত্রুতা ভাবাপন্ন হয়ে এনামুল হক সহ তার পরিবার পরিজনকে ফাসাতে মিজানুর রহমান তার লোকজন দিয়ে মিথ্যা সাজানো ঘটনার বর্ননা দিয়ে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় তাদের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এনামুল হক পরিবারকে হয়রানী মুলক পৃথক পৃথক ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে মিজানুর রহমান। ভুক্তভোগী এনামুল হক প্রশাসনের আশুদুষ্টি কামনা সহ মিথ্যা মামলা দায়ের কারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।