শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে গৃহবধূ (২০) কে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর সোমবার রাতে শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজির চর ইউনিয়নের লংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শ্রীবরদী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজহার নামীয় ৩ জনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলো- শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান (২৩), দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) ও জামালপুর সদর উপজেলার দেউরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল সেকের ছেলে আয়নাল হক (৫০)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূ শ্রীবরদী উপজেলার উত্তর খড়িয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেই সুবাধে বাড়ি প্রতিবেশী কামরুজ্জামান গৃহবধূর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ধার নেয়। গত সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূ কামরুজ্জামানের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চায়। একই দিন সন্ধ্যার পর টাকা দেওয়ার কথা বলে কামরুজ্জামান গৃহবধূকে লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান।

এসময় তার সহযোগি শফিকুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। সেখানে গেলে নৈশ প্রহরী আয়নাল হক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন এবং ওই দুই যুবকের পরামর্শ অনুযায়ী গৃহবধূকে বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। ওই দিন আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে কামরুজ্জামান, শফিকুল ও নৈশ প্রহরী আয়নাল ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেন। পরে গৃহবধূকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাড়িতে ফিরে অভিভাবকদের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি অবগত করেন। এঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ ধর্ষককে আসামী করে গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই ৩ জনকে আটক করে।

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য ভুক্তভোগীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।