শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমানের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী কন্যা (১৩) কে ২২ আগস্ট রোববার একই গ্রামের বখাটে যুবক কমিন মিয়া (৩০) কৌশলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এঘটনায় সদর থানার পুলিশ ২৩ আগস্ট সোমবার অপহরণকারী কমিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
বখাটে কমিন মিয়া সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী আবুল কাশেমের বখাটে ছেলে কমিন মিয়া একই এলাকার ওই কিশোরীকে সোমবার কৌশলে ফুসলিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এঘটনায় অপহৃতা কিশোরীর বাবা শেরপুর সদর থানায় বখাটে কমিন মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অপহরণকারী কমিন মিয়াকে গ্রেফতার এবং সেই সাথে ভিকটিম অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে কমিন মিয়াকে ওই দিন আদালতে সোপর্দ করেছে সদর থানার পুলিশ। ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে অপহৃতা ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, বখাটে কমিন মিয়ার বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপসহ এলাকায় নারী ঘটিত বিস্তর অভিযোগ রয়েছে । বখাটে কমিন মিয়া পুলিশের হাতে ধৃত হওয়ায় এলাকাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। অপহরণকারী কমিন মিয়াকে গ্রেফতার এবং অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধারের বিষয়টি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোঃ বন্দে আলী সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।