শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং মডেল থানায় মামলা করতে আসায় দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় জেলা শহরের বটতলা মসজিদ মার্কেটের একটি কম্পিউটারের দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আকতার হোসেন তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহদের অবস্থা অসংখ্যজনক হওয়া তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে হারেজ কোতোয়ালের ছেলে মনির কোতোয়াল ও শাহাবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও ঢাকা বিভাগীয় দক্ষিণের ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির কোতোয়াল।
এবিষয়ে জাকির কোতোয়াল বলেন, আমার পরিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত জামাল ফকিরের পক্ষে নৌকা মার্কার নির্বাচন করায় রবিবার আমার ছোট ভাই মেহেদী কোতোয়াল ও রুবেলকে, বাচ্চু বেপারী ও তার লোকজন কুপিয়েছে। আমি খবর পেয়ে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে এসে সন্ধ্যায় পালং মডেল থানায় মামলা করতে যাই। আমরা বটতলায় কম্পিউটারের দোকানে মামলা করতে গেলে কাউন্সলর বাচ্চু বেপারী ও তার লোকজন আমাকে আমার ভাই মনির কোতোয়ালকে কুপিয়েছে এবং পিটিয়েছে। ইকবাল হোসেন অপু মিয়ার নেতৃত্বে শরীয়তপুরে বাচ্চু বেপারী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাচ্চুর সন্ত্রাসের কারনে আজ শরীয়তপুরের মানুষ নিরাপত্তাহিনতায় রয়েছে। আমির এর বিচার চাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চু বেপারীকে একাধিক বার ফোনদিয়েও পাওয়া যায়নি। পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আকতার হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় জাকির কোতোয়াল ও তার ভাইকে কোপানোর বিষয়ে তার আম্মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু বেপারীসহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে । এঘটনায় জরিত থাকায় আব্বাস বেপারী ও জুয়েল কাজী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যবাহত আছে।