শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ভোট চাইতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মুন্সি তার নিজ বাড়িতে সভায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।তাদের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ত্রাসের কারণে হাটবাজারে যেতে পারছে না।প্রচার প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি করছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বাকাউল মুন্সীর সমর্থকরা।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসনের নিকট আহবান জানিয়েছেন লিটন মুন্সী।কর্মী সভা শেষে সংবাদিকদের তিনি বলেন,আমি পিছনেও ইউপি সদস্য ছিলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী যে তিনি আমার সাথে এর আগেও নির্বাচন করে পরাজয় হইছে সেই থেকে আমার পিছনে লেগে আছে।সে ও তার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে সাতটা মামলা দিয়েছে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে মিথ্যা মামলা দেয় আমার নামে সেই মামলা আমি সাত দিন জেল খেটে আসি।
এখন আবার ইউপি নির্বাচনে সে আমার প্রতিদ্বন্দিতা করতেছে।আমাকে কোথাও ভোট চাইতে দেয়না,আমার কোন পোস্টার ব্যানার লাগাইতে দেয় না,লাগাইলে ছিড়ে ফালাইয়া দেয়।গত ২৯ অক্টোবর আমার মুরগি মার্কার একটা মিছিল হয় বাকাউল মুন্সী বিএনপির লোকজন নিয়ে আমাদের মিছিলের ওপর বোম মেরে হামলা করে এতে আমার বেশ কিছু লোক আহত হয়।অথচ চারদিন পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বোমের মামলা করা হয়।
এই মামলায় টোটাল ৪৪ জনকে আসামি করা হয় তার মধ্যে চারজন নির্বাচনী প্রার্থী (দুইজন মহিলা প্রার্থীর স্বামী)।আমি প্রশাসনের কাছে বলতে চাই আমি দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকার মানুষের সাথে সম্পৃক্ত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী যে আছে তিনি জানে তার নিশ্চিত পরাজয় সে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে।পুলিশ প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের কাছে আমি ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।
এদিকে বাকাউল মুন্সি বলেন আমি লিটন মুন্সির প্রচার-প্রচারণা কোন ধরনের বাধা দেই নাই।এবং তার কোন ব্যানার-ফেস্টুন আমার লোকজন ছিড়ে নাই।