শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নে ১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এলজিইডি তত্ত্বাবধানে ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের ভাদুরী কান্দি একরামালি হাওলাদারে বাড়ি থেকে ভূঁইয়া বাজার পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার রাস্তার সিডিউল অনুযায়ী মালামাল না দিয়ে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলা হয়। দেখাশোনার জন্য এলজিইডির কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও মাঠে নেই তারা। ঠিকাদার ইচ্ছামতো নয়ছয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, তারা সিডিউল অনুযায়ী রাস্তা চান। রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার হচ্ছে এ ব্যাপারে গত ২০ ফেব্রুয়ারী শরীয়তপুর এলজিইডির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান ফরাজীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই রাস্তায় নিন্মমানের খোয়া ব্যবহার হচ্ছে আমি নিজে পরিদর্শন করে দেখছি এগুলো তুলে ফেলা হবে।
১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সরজমিন ঘুরে দেখা যায় পুরনো সেই খোয়া রোলার দিয়ে ডলে তার উপরে আরও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।সাংবাদিক গেলে স্থানীয় এক বৃদ্ধ মহিলা হাত দিয়ে চাপ দিয়ে খোয়া ভেঙ্গে যায় দেখায়। স্থানীয় যুবক সজীব বলেন, যেই খোয়া দিয়া কাজ করছে মনে হয় চুলার মাটি, নিচেও একই অবস্থা। এর আগে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে তা নিয়ে বাঁধে নানান ঝামেলা। স্থানীয় মন্নান কাজী বলেন, আগের যেই খোয়া ছিল ওই ভাবেই আছে। এগুলো নিয়ে আরো আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়ে গেছে। রাস্তার কাজের মান খারাপ হইছে এই বিষয়টা আমরা ফেসবুকে পোস্ট করছিলাম এতে সাংবাদিক এলজিইডির লোক আসছে কিন্তু সবাই ভিডিও কইরা নিছে কেউ কিছু করে নাই।
উল্টা যারা বাধা দিছে তাদেরকে নানান কথা শুনতে হইছে। তিনি আস্থা হারিয়ে আরো বলেন, ভালো করতে যেয়ে আরো দেখলাম বিপদ আসছে। সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে কিছুই না ক্ষমতা দিয়ে সবকিছু হয়। আমাগো বিচার আল্লাহর কাছে। ডামুড্যা উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, আগের খোয়া তুলে কাজ করার কথা। আমি ট্রেনিং এ আসছি তাই আমার কিছু জানা নাই। ২৩ তারিখের পরে আমি আসলে দেখতে পারবো কি অবস্থা । এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান ফরাজী বলেন,আমি তো ঐগুলা উঠাইয়া ফালাইতে বলছি আবার আমি আমার লোক পাঠাইয়া দেখতাছি কি করছে তারা।