বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের বিরেুদ্ধে রোগী না দেখা, ডাক্তার ও স্টাফদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, করোনার নমুনা পরীক্ষায় টাকা গ্রহনসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শরণখোলা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহিমা আক্তার হাসির সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান তদন্ত করেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহিমা আক্তার হাসি ও খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে রোগী না দেখা, হাসপাতালের ডাক্তার ও স্টাফদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, করোনার নমুনা পরীক্ষায় টাকা গ্রহনসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেন। এসময় ভুক্তভোগী অনেক মানুষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে ওই অভিযোগের পক্ষে স্বাক্ষী দেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্তের নির্দেশে আমার অভিযোগকারী, ভুক্তভোগী মানুষ, ডাক্তার ও স্টাফদের পৃথকভাবে বক্তব্য শুনেছি। দু-একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে দাখিল করা হবে। এসব অভিযোগের একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে আশা করি। অভিযোগ এবং তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব বিষয় অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনা ভিত্তি নেই।