ঘনঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে সিলেটের ওসমানীনগরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। রোববার (১৭ জুলাই) রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার তাজপুর ইউপির খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশন সংলগ্ন সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। এসময় পল্লী বিদ্যুতের ওসানীনগর কার্যালয়ের ডিজিএম মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরীর অপসারণ এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান তারা।
এদিকে, অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই প্রান্তে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অপ্রতিকর পরিবেশের পাশাপাশি দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুরপাল্লাগামী কয়েক শত’ যানবাহন আটকা পরে। রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স সহ হাজারও যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোব্ধ গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমর বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিয়ে অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধের পর ওসমানীনগর থানা পুলিশ এবং স্থানীয় সরকারদলীয় নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থলে এসে রাত সোয়া ১১ টার দিকে অবরোধকারীদের সমঝোতার মাধ্যমে সরিয়ে নেন।
ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া বলেন, বিদ্যুতের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করায় দুই দিকে হাজার ও যানবাহন আটকা পরে। এতে অনেক মানুষ দুর্ভোগে পরেন। আমরা অবরোধকারীদের অনুরোধ করায় তারা অবরোধ তুলে নিয়েছেন ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন রাত ১২টার দিকে বলেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সকলের প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত শনিবার রাতে আমাদের এখানে সমস্যা ছিল না। কিন্তু রোববার বিশ্বনাথের মূল সরবরাহ লাইনের দুটি তার ছিড়ে যাওয়ায় আমাদের ওখানে বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা সর্বাত্মক চেষ্ঠা করছি যাতে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে জন দুর্ভোগ মেটানোর আপ্রান চেষ্টা করি।