লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম তিনবিঘা করিডোরে বিজিবি ও এলাকাবাসীর বাধায় রাস্তার দুই ধারে তিন ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ কাজের সামগ্রী সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দহগ্রাম তিনবিঘা করিডোরের রাস্তার দুইপাশ থেকে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নেয় বিএসএফ।এর আগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ ঘটনায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শনে আসেন।পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের পানবাড়ি এলাকা (সংযুক্ত) থেকে দহগ্রাম ইউনিয়নের ভূখণ্ড পর্যন্ত করিডোর সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৭৮ মিটার ও প্রস্থ ৮৫ মিটার।সড়কটি ২৪ ঘণ্টা ব্যবহারের জন্য ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে খুলে দেন।তখন থেকে একটানা সড়কটি ব্যবহার করছে বাংলাদেশের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান,এক সপ্তাহ আগে তিনবিঘা করিডোর ভারতীয় অংশে ইট,বালু,সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রী এনে রাখে বিএসএফের সদস্যরা।গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সড়কটি সংস্কার করতে সকাল থেকে প্রায় ১২-১৫ জন নির্মাণশ্রমিক সড়কের দুই পাশে গর্ত খনন করেন।৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার জাহাবুল ইসলাম বিএসএফকে গর্ত খননের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সড়কটি সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হচ্ছে।
এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না সৌন্দর্য বর্ধনের নামে দেয়াল নির্মাণ সম্পন্ন করা হলে বাংলাদেশি জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হতো।বিষয়টি বুঝতে পেরে বুধবার সকালে বাধা দেয় বিজিবি।পরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান বলেন,তিনবিঘা করিডোরের রাস্তার দুই পাশের গর্ত থেকে লোহার নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে দিয়েছে বিএসএফ।
এতে দহগ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলে আর সমস্যা হবে না।তারা (বিএসএফ) যেভাবে দেয়াল নির্মাণ করছিলেন তাতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে মানুষের চলাচলে সমস্যা হতো।৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাবুল ইসলাম বলেন,দুপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৪৩ নম্বর ক্যাম্পের সদস্যরা নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিয়েছেন।এ ব্যাপারে ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইসহাক আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত তিনবিঘায় সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে।