সাধারণ মানুষ থেকে সাজ আর বাচনভঙ্গি,কথা বলার ধরন একেবারেই আলাদা।তবে তারা কোথায় গেলে দল বেধে এক সাথে তিন-চার জন বের হয়।এমন তাদের সাথে কথা হয় গতকাল ১১ জুলাই রোববার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় ও জরুরী সেবা দান কক্ষে।এসময় জরুরী কক্ষে বসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান বকুল।চিকিৎসা নিতে আসা হিজড়া সরদারকে জিজ্ঞেস করতেই ভাষায় ভঙ্গিতে বলে সাংবাদিক ভাই এখন আমরা আছি বড়ই কষ্টে।
শুনেন,লকডাউনে বিয়ে বা বড় কোন অনুষ্ঠান হয় না।সাংবাদিক ভাই শুনেন,আমার আন্ডারে আছে বিশ হিজড়া কনতো আমি কি করি।নাই কোন রোজগার,আছে বাড়ি ভাড়া,খাওনি কাপড় চুপড় আরো কতো কি? লকডাউনে ঘর থেকে বাইরে যেতে পারি না।এ সময় আমড়ারে কেউ কিছু দেয়না, এতো জনরে লইয়া অনেক কষ্টের মাঝে সময় কাটাতে হয়।
আমি তাহি কালিকচ্ছ্ এ পযর্ন্ত কোন মেম্বর বা চেয়ারম্যান সরকারি ভাবে কিছু দেয় নাই,আমরা চলবাম কেমনে।এমন করে বলছিলেন সরাইল হিজড়া সম্প্রদায়ের নেতা তার ভাষায়।তার পাশে দাড়িয়ে আছে শিবাঙ্গী হাতে তুরি দিয়ে বলে,দেখেন আমরা যদি কোন কাম কাজের ব্যবস্থা থাকতো আমরা কি মানুষের বাড়িতে এসব করতাম।
তার ভাষায় বলে লকডাউনে বিয়ে-সাদি নাইরে,বলতো আমরা কেমনে চলি।তোরা যেমুন খাস আমরার খাওনি লাগেরে।এখন অনেকের কষ্টের পর কষ্ট ! কেউ কিছু দেয়না।আমরার কষ্টের সময় পারলে কিছু দে? শিবাঙ্গী বলে আরো বলে আমরা যদি কাজ পাইনি তবে মানুষের উপর অন্যায় কাজ করবনা ?
বিভিন্ন তথ্য মাধ্যমে জানা যায়,এদের সামাজিক ভাবে গ্রহণ না করার কারণেই চিকিৎসা,শিক্ষা,কর্মসংস্থানসহ নানা স্থানে বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের।হিজড়ারা এবং তাদের নিয়ে যেসব সংস্থা কাজ করে তারা দীর্ঘদিন ধরেই এদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।যাতে তাদের অন্যান্য অধিকারগুলো রক্ষা হয়।
সরকার সম্প্রতি তাদের কিছু কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানাযায়।