ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল প্রাত-বাজারের পাকা রাস্তাটি মারাত্মকভাবে ভেঙে গিয়ে যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার সদর থেকে টিঘর মোড় পর্যন্ত পর্যন্ত রাস্তার বিগত ১০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে রাস্তা বড় বড় খানাখন্দে ও অনেক অংশে কার্পেট উঠেজে মাটিতে ভরে গেছে। বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যায়।
প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ চলাচল করে থাকেন। উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচলে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে মাটি দিয়ে কাজ করলেও যানবাহন চলাচলে ও বৃষ্টিতে আবারও রাস্তা ভেঙে গেছে।
সরাইল প্রাতঃবাজার-স্বল্প নোয়াগাঁ ওআরিফাইল টিঘরও পানিশ্বর সড়কের বেহাল দশা।সরাইল প্রাত বাজার থেকে একটু সামনে ব্রীজ আছে সেই ব্রীজের রেলিং ভেঙে আছে। ব্রীজের পুর্ব পাশে সরু রাস্তায় গাড়ি অনেক সময় খালে পড়ে যাত্রী ও চালকসহ খালের মাঝে এমন করে বললেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর প্রাত বাজার থেকে পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর পর্যন্ত প্রায় নাজুক রাস্তার চিত্র। এখান রাস্তার অনেকাংশেই পিচ উঠে গিয়ে ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়েছে। মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনের চাকা রাস্তার গর্তে দেবে যাচ্ছে। এতে করে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী।
এলাকাবাসী জানায়, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি প্রায় সময়ই এখন পানি জমে থাকে। একারণে বাজারে আসা শত শত মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়েছে। এছাড়া একই রাস্তার সরাইল প্রাত বাজার হতে টিঘর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অংশ। সংস্কার কাজ হলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
আর ব্রীজের অবস্থা কি বলবো। প্রাত বাজারের দোকানীরা জানায়, এখানে পানি নিস্কাশনের জায়গা গুলো মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধার সৃষ্টি হচ্ছে।মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। স্থানীয় আব্দুল মমিন মিয়া জানান, রাস্তাএতো খারাপ আমরা রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারি না।
আমরাও তো এদেশের মানুষ আমাদের রাস্তাঘাট কেন এমন অবস্থা থাকবে। আমি দাবী জানাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদেরকে এই রাস্তাটি দূরত্ব সংস্কার করার জন্য।রাস্তার পাশেই বাসা রিপা বেগম বলেন, রাস্তার অবস্থার কারণে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা হচ্ছে। মা বোনেরা ভয়ে চলাচল করতে হয়।
উপজেলার অনেককে আমি জানিয়েছি রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য।আজও পর্যন্ত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। স্থানীয় শিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার বেহাল অবস্থা কেউ এ রাস্তার সংস্কার করার জন্য এগিয়ে আসে না। প্রাতঃ বাজার থেকে টিঘর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা।
নয় বা দশ বছর ধরে রাস্তার এই অবস্থা।মো.রুবেল মিয়া বলেন,সকাল বাজার থেকে টিঘর রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিনে রাস্তা থেকে গাড়ি খালে পড়ে যায়। দশ বছর ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি পুরোটি ভেঙ্গে গেছে।এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দেখার কেউই নেই।
তবে জনস্বার্থে রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার। রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন এ প্রতিনিধিকে বলেন,রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর সংস্কারের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এই অর্থবছরেই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।