গত ২২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন এক ব্যক্তি তার ফেসবুক পেজে “চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডীতে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে ভূয়া পোস্ট করেন। তবে বাস্তবে এমন কোনো ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়না। যার কারনে আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চাঁদপুর জেলাবাসী। এছাড়া ফেসবুকে আরো একাধিক ব্যক্তি লিখেছেন
বিষাক্ত এই রাসেলস ভাইপার সাপে কাটলে নিশ্চিত মৃত্যু বা কোনো প্রকার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নেই। এমন কিছু পোস্টের কারনেই অনেক সাধারণ মানুষ বেশি আতঙ্কিত রয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, যে কোনো বিষাক্ত সাপে কামড়ালে মানুষকে বিষ প্রতিষেদকের যে এ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন দেয়া হয়। চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে সেই এ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন ১৩০ টি স্টকে রয়েছে। একই সাথে আরো ২০০ এ্যান্টিভেনম চাহিদার জন্য বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষটি অবগত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগেও এক দেড়শ এ্যান্টিভেনম প্রস্তত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের কামড় প্রসঙ্গে জনসচেতনতার জন্য চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেকোনো বিষধর সাপে কাটলে কোনো ওঝার কাছে না নিয়ে সময় নষ্ট না করে সাপে কাটা ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। কামড়ের সাথে সাথে যতটা দ্রুত হাসপাতালে আনা যায়, ততটাই ভালো হবে। তিনি আরো জানান, সাপে কাটার সাথে সাথে কামড়ের উপরের স্থানে কোনো রশি দিয়ে বাঁধা যাবেনা। সেখানে গামছা বা ওড়নাসহ সুতি জাতীয় কাপড় দিয়ে হালকা করে বাঁধতে হবে।
সারাদেশের সাথে চাঁদপুরেও বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ আতঙ্কে রয়েছে জেলাবাসি। এতে করে বিভ্রান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। চাঁদপুর সদর ও বিভিন্ন উপজেলা সহ শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম অঞ্চল গুলোতে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম হচ্ছে রাসেলস ভাইপার।
প্রায় দেড় দুই মাস পূর্বে চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকা শরিয়তপুর এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ও রাজরাজ্বেশর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রথমে কয়েকটি রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মিললেও বর্তমানে নদীর পাড় এলাকার অনেকস্থানেই এই সাপের দেখা মিলছে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই সাপ নিয়ে একাধিক পোস্ট ভাইরাল হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।