ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব। রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির পুরনো ঘর মেরামত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ শিক্ষক আহত হয়। এ নিয়ে থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিন শিক্ষক সমিতির যুগ্ন আহবায়ক আহসান হাবীবের মৌখিক ও এজাহার সূত্রে জানাযায়, মহলবাড়ি মৌজার ১৩৬ নং দাগে ১৯৮২ সালের পূর্ব থেকে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি দখলে ছিল। ১৯৮০ সালে জেলা প্রশাসক এটিকে লীজ প্রদান করেন। নিয়ম অনুযায়ি ডিসিয়ার নেওয়া হয়।
এরপর হতে সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ করে সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। সমিতির সম্পাদকের মৃত্যু হলে একটি চক্র এ সুযোগে জায়গাটি দখলে নেয়ার চেষ্ঠা করে। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মৌসুমী আফরিদা রাতের আধারে দখল কারিদের উচ্ছেদ করেন।
আবারও ক্রমন্বয়ে জমির মালিক দাবী করে সম্প্রতি আরেকটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। দোশিয়া গ্রামের মুকুল নামীয় এক ব্যক্তির সহায়তাকারি হিসাবে মফিজুল ও তার লোকজন জমিটি দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করে। শিক্ষক সমিতির লোকজন সেই পুরনো ঘর মেরামত করতে গেলে মফিজুল বাঁধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মফিজুল ও তার সঙ্গীয় লোকজন শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। এতে সহকারি শিক্ষক মকবুল হোসেন, আজিজার রহমান আহত হয়ে রাণীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি হয়। শিক্ষক সমিতির যুগ্ন আহবায়ক আহসান হাবীব বাদী হয়ে মফিজুল ইসলাম ও উসমান গনি সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি শিক্ষক সমাজ মেনে নিতে পারছেন না। ভান্ডারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির আহবায়ক গপেনদ্রনাথ বলেন আগামীকাল আমরা সকল শিক্ষক বসে মানববন্ধন করার ব্যাপারে সিদ্ধান নিবো। এদিকে বিবাদী মফিজুল ইসলাম বলেন, এ জমি নিয়ে মামলা চলচ্ছে। তাই আমি কাউকে দখল করতে দিবো না। এ প্রসঙ্গে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, অভিযোগটি আমি পেয়েছি, সার্কেল স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।