ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা সদরে কোন পাবলিক টয়লেট না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজারো নারী পুরুষ। উপজেলার সদরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, যেখানে পাবলিক টয়লেট খুবই জরুরি। এর মধ্যে উপজেলার প্রান কেন্দ্র বাইপাস মোড়, মেডিকেল মোড়, স্কুল মার্কেট, বাজার, বাঘড়ি বাজার ও ডাকবাংলো মোড় এলাকায় লোক সমাগম অনেক বেশি। দূর-দুরান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষ প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বেছে নেয় রাস্তার পাশে লোকচক্ষুর আড়ালের জায়গা।যে কারনে মানুষের চলাচলে পোহাতে হয় ব্যাপক দুর্ভোগ। ভোগান্তির শিকার মানুষগুলোর এই ছোট্ট দাবি পূরণে আজ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি।
উপজেলা সদরে বাঘড়িবাজারে সপ্তাহের দুই দিন বড় হাট এবং প্রতিদিনের দুটি বাজারে কেনাকাটার উদ্দেশে সদরের বাইরের কয়েক হাজার মানুষ আসে। এ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সব অফিস রয়েছে এখানে। এসব দপ্তরে কাজের জন্য আসা মানুষের মধ্যে অনেকেই পাবলিক টয়লেটের জন্য ভোগান্তিতে পরতে হয়। বাইপাস মোড়, মেডিকেল মোর ও বাঘড়ী বাজার এলাকায় দূর পাল্লার গণপরিবহনের কাউন্টার থাকার কারণে যাত্রীরা পাবলিক টয়লেটের অভাবে ভুগছে প্রতিনিয়ত। চট্রগ্রাম ও ঢাকাগামী গণপরিবহনের কাউন্টার গুলো বাইপাস মোড়, মেডিকেল মোড় ও বাঘড়ী বাজারে থাকায় পরিবহনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের টয়লেটের ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই মহিলা। উপজেলা সদরের আশেপাশের মসজিদ মাদ্রসা এবং প্রতিষ্ঠানিক টয়লেটগুলোর অনেকটাই থাকে তালাবদ্ধ। যার কারণে বয়োবৃদ্ধদের নিজেকে সামাল না দিতে পেরে মাঝে মাঝে কাপড় নষ্ট হয়ে যায় অনেকের।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায়সময়ই অপরিচিত বিভিন্ন বয়সের মহিলা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরে প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য।মহিলা বলে তাদের কিছুই বলার থাকে না। কিন্তু আমারাও সব সময় ভয়ে থাকি কারণ এই অজুহাতে আবার চোর-ডাকাত বা প্রতারক চক্র বাসার ভিতরে ঢুকে সর্বোস্ব নিয়ে চলে না যায়।
গ্রাম থেকে সদরে আসা এক মহিলা জানান, কাজের জন্য উপজেলা সদরে প্রায় সময় আসতে হয়, কয়েক দিন আগে উপজেলা সদরে এসেছিলেন তখন তার টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল, টয়লেটের কষ্টসহ্য করতে না পেরে টয়লেটের জন্য একটি বাসায় যায়, গিয়ে সেই বাসার লোকদের কাছে টয়লেটে জাবার কথা বললে বাসার লোক জন তার সাথে খুব খারাপ আচারন করেন। টয়লেট না পেয়ে সে খুব ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, পাবলিক টয়লেট করার জন্য সদরে জমি পাওয়া যাইতেছে না, জমি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য উর্দ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান জানান, পাবলিক টয়লেট করার জন্য জমি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।