মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউপি সাবেক মেম্বারের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) তাছলিমা আক্তার রায়না (১৫) নামক এক গৃহপরিচারিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহত রায়না ভুইগাঁও গ্রামের মৃত জামাল মিয়ার মেয়ে।সে কানি হাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
রায়নার মৃত্যুর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও গোটা এলাকায় এই মৃত্যু নিয়ে চলছে গুঞ্জন।এলাকায় লোকমুখে রায়নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় এমন অভিযোগ।মৃত্যুকালে রায়না অন্ত:স্বত্তা ছিলো।ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বানচালের জন্য তোর জোর চেষ্টা চলছে।মেম্বারের বাড়ির লোকজনের চারিত্রিক অধ:পতনের কথা এবং ৩ মাস আগে বুলবুল মেম্বারের ভাই হারুন জোর করে নিহত রায়নাকে তাদের বাড়িতে নেয়-এমন খবর লোকমুখে ব্যাপক আলোচনার ঝড় হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভূঁইগাঁও গ্রামে নিহত রায়নার বাড়িতে গেলে তার মা মোছাঃ নেওয়া বেগমের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে আসপাশের পরিবেশ।মেয়ের ছবি বুঁকে নিয়ে সারাদিন কাঁদেন মা।এমন কথা বলেন রায়নার বড় বোন শারমিন বেগম।তিনি আরও জানান,তার বোন মেম্বারের বাড়ির লোকজন তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানি করে বলে মায়ের কাছে বলেছে।নিহত রায়না অনেকটা সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলো।
নিহত রায়নার মা মোছাঃ নেওয়া বেগম ও বড়বোন শারমিন বেগম জানান,ঘটনার দিন মেম্বার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে তাদেরকে বলা হয় জলদি যেতে।রায়নাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।তারা মেম্বারের বাড়িতে যাওয়ার পর তাদেরকে বলা হয় রায়না বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।তারা বাথরুমে ঢুকে হতবাক হয়ে যান।নিহত রায়নার পা একটি টুলে লাগানো ছিলো।এভাবে কোন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে না।রায়নাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত রায়নার চাচাতো ভাই তারেক মিয়া ও ভাই সলমান মিয়া জানান,ময়নাতদন্ত না করানোর জন্য ওসির পায়ে পড়ে কান্নাকাটি করার জন্য মেম্বারের বাড়ির লোকজন তাদেরকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা করে।ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ।মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) রাতে পাইকপাড়া বাজার থেকে তারা ফেরার পথে তাদের পথ আগলে মারপিট করার চেষ্টা চালায়।রাতে কয়েকজন অজ্ঞাত লোক হামলার চেষ্টা করে।তাদের চিৎকারে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অর্থ বিত্তে প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বনচালে বুলবুল মেম্বার উঠেপড়ে লেগেছেন।শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিনি মৌলভীবাজার গেছেন বলে তারা দাবি করেন।তারা আরও জানান,এখন ছোট ভাইবোন ও মাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।যেকোন সময় তাদের প্রাণনাশের জন্য হামলা হতে পারে।এমন আশংকায় পরিবারটি অভিযোগ করছে ।