চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত বাচ্চার সিজারিয়ান করাতে গিয়ে বৃষ্টি বেগম (২৬) নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।১২ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।নিহত বৃষ্টি বেগম হাজিগঞ্জ উপজেলার গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ি শুক্কুর আলমের স্ত্রী ও চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের গ্রামের সিরাজ খানের মেয়ে।তার ১৮ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত বৃষ্টির স্বামী ও শাশুড়ি শামসুন্নাহার বেগম জানান,গত শুক্রবার রাত বারোটায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা বৃষ্টিকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।তারা জানান,তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ডাক্তার তাদেরকে জানিয়েছেন যে বৃষ্টি বেগমের গর্ভের সন্তান মৃত।একদিন গর্ভে মৃত সন্তান নিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নিহত বৃষ্টি।
আর গর্ভের ওই মৃত সন্তানকে ডেলিভারি করার জন্য মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে হাসপাতালের এ্যনেস্থেসিয়া চিকিৎসক ডাঃ আবু সায়েম,জুনিয়র কনসালন্টে (গাইনী) তাবেন্দা আক্তার ও তার সহযোগী চিকিৎসক ডাঃ আঞ্জুমারা পেন্সি,তার সিজিরিয়ান করান বলে জানা গেছে।
বৃষ্টির বোনের ছেলে শাহিন হোসেন জানান,মঙ্গলবার সকালে তার খালা বৃষ্টিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাকে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেওয়া লাগবে।তাই জরুরী ভিত্তিতে রক্তের ব্যবস্থা করার জন্য।তাদের কথামতো তারা বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করে রক্তের ব্যবস্থা করে হাসপাতালে ফিরে এসে শুনতে পায় তার খালা মারা গেছেন।সে অভিযোগ করে বলেন,চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই তার খালার এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এমন প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই মোঃ নাসির উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ঘটনার সম্পর্কে জানেন।তিনি জানান,হাসপাতালের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি তারা যদি লিখিত ভাবে কোনো অভিযোগ দেয়।তাহলে লাশের সুরতহাল করে লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের এ্যনেস্থেসিয়া চিকিৎসক ডাঃ আবু সাদত আবু সায়েম ও জুনিয়র কনসালন্টে (গাইনী) তাবেন্দা আক্তার জানান,অপারেশন করার আগে তার শারীরিক সব ধরনের পরীক্ষা করা হয়েছে।আমরা তার অপেরেশন করার আগেই ওই রোগী ব্যথায় পূর্বের সিজারের স্থান ফেটে গিয়ে (জরায়ু) প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে।আমরা রোগীর স্বজনদের রক্তের ব্যবস্থা করতে বলেছি।কিন্তু তারা রক্ত ব্যবস্থা করার আগেই রক্তশূন্যতার কারনে রোগীটির মৃত্যু হয়েছে।