মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজ্বী মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের সমর্থক আমানউল্লাহ (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৬ই জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে গোয়ালগাঁও গ্রামের প্রধান বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আমানউল্লাহ কে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত আমানউল্লাহ গোয়ালগাও গ্রামের মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের তথ্য সুত্রে জানা যায়, হোসেন্দী ইউনিয়নে বিজয়ী মোটরসাইকেল প্রতীকের হাজী মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের সমর্থক আমানউল্লাহ গোয়ালগাও বাজার হতে বাজার করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মনিরুল হক মিঠুর সমর্থক একই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন মিয়ার নেতৃত্বে আবুল হোসেন, ইব্রাহিম, সাকিব ,জামানসহ ১৫ থেকে ২০ জন তার অর্তর্কিত ওপর হামলা চালায়। হামলার পর আমানউল্লাহ রাস্তা পাশের এনামুল রহমানের প্রধানের বাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা এনামুল রহমানের বাড়ির ভিতর ঢুকে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলার সময় ওই বাড়ির রিয়া ও মিতু নামে দুইজন বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জানান, আমানউল্লাহ আমার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলো। আমার সমর্থন করার নৌকা প্রার্থীর মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা এ কাজ করেছে। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
হামলার বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী মনিরুল হক মিঠু বলেন, আমি কিংবা আমার কোন কর্মী সমর্থক এর সথে জড়িত না। আক্তার হোসেন রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার জন্যই এমন প্রচার করছে। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি রইস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরর্বতী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউনিয়নের পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. আক্তার হোসেন জয়লাভ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক মিঠু পরাজিত হয়।